Want to raise a happy & healthy Baby?
Diet & Nutrition
5 April 2023 আপডেট করা হয়েছে
মাতৃত্ব জীবনের সেরা সময়, এক অনন্য অনুভূতি। এই অনন্য অনুভূতির স্বাদ পেতে বেশিরভাগ মেয়ে তাদের অনেক রোজের অভ্যাসে বদল ঘটায়। ঠিক সেই রকমই খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন মাতৃত্বকে আরও সুরক্ষিত করে তোলে। বিজ্ঞান অথবা ডাক্তারি পরিভাষার বাইরেও আমাদের মা, ঠাকুমারাও এই সময় খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন পরিবর্তন এনে মাতৃত্বের সময়টাকে সুরক্ষিত করে তোলে। যদিও বিষয়টা এরকম একদমই নয় যে কিছুই খাওয়া যাবে না বরং না খাওয়ার তালিকার থেকে খাওয়ার তালিকা টা অনেক বেশি এবং আকর্ষণীয় রোজের নিত্যনতুন পদ ও তার স্বাদের মাধ্যমে।
প্রত্যেকটা মানুষের খাদ্যাভ্যাস বিভিন্ন আর কিছু মানুষ থাকে যারা কফি, বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খুব বেশি পরিমাণে ভালোবাসে। মাতৃত্ব সময়কালীন এই ভালোবাসার কিছু অংশ ছাড়তেই হয়। সবকিছু একসাথে পাওয়া যায় না। তাই জেনে রাখা ভালো যে কোন কোন খাদ্য এবং পানিয়ে অবশ্যই ভাবে না বলতে হবে।
গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে আনারসের রসাস্বাদন থেকে বিরত থাকাই ভালো। আনারসের ব্রোমেলাইন একটি এনজাইম যা প্রোটিনকে ভেঙে দিয়ে গর্ভপাতের কারণ ঘটাতে পারে। শুধুমাত্র আনারসই না, একই পরিণাম হতে পারে পেঁপে খাওয়ার ফলে। পাকা, কাঁচা, অথবা আধপাকা পেঁপে খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে খুবই বিপদজনক যেহেতু এটা গর্ভপাতের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়।
গর্ভবতী মহিলারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টক খেতে খুব পছন্দ করে। এক্ষেত্রে তেঁতুল সবথেকে বেশি পছন্দের খাবার হয়ে থাকে এই সময়। সেহেতু, সচেতন থাকা উচিত যে তেঁতুল প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা অতিরিক্ত খেলে প্রোজেক্টেরনের ক্ষরণ কমিয়ে দিয়ে স্তর কমিয়ে দেয় এবং ভবিষ্যতে তা গর্ভপাতের কারণ হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে।
কফি, কোলড্রিঙ্ক জাতীয় খাবার বেশিরভাগ মেয়েদেরই খুব পছন্দের। কিন্তু মাতৃত্ব এক অনন্য অনুভূতি। তাই সুরক্ষিত মাতৃত্বকে নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থায় এই ধরনের খাবার বা পানীয় সেবন না করাই ভালো।
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা খুবই কম থাকে। অন্যদিকে বাইরের খাবার যতই স্বাদু হোক না কেন, সঠিক পদ্ধতিতে বা যথাযথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে তৈরি করা হয় না। তাই কিছু সময়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত খাবার বা বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। আবার এটাও ঠিক যে, এই ধরনের খাবারে অতিরিক্ত কৃত্রিম ভিটামিন থাকে অথবা অনেকদিন ধরে ভাজা অবস্থায় সংরক্ষিত থাকে। তাই এই সংরক্ষিত বাসি খাবার গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে একদমই সঠিক না।
গর্ভাবস্থায় বিজ্ঞান এবং সামাজিক নিয়ম সবসময়ই সুনিশ্চিত করে যে গর্ভবতী মহিলা তাজা, সঠিকভাবে রান্না করা খাবার গ্রহণ করছে। অর্ধ সেদ্ধ বা কাঁচা আনাজ বা ডিমে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থাকতে পারে যা ফোটানোর ফলে মরে যায়।তাই এই সময় অর্ধ সেদ্ধ ডিম বা অন্যান্য কাঁচা বা অর্ধ সিদ্ধ জিনিস না খাওয়াই ভালো। এই ধরনের খাবার শুধুমাত্র হবু মায়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে তাই নয়, মায়ের গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুটির পক্ষেও যথেষ্ট ক্ষতিকর। গর্ভে থাকাকালীন শিশুটির সবরকম বৃদ্ধি মায়ের খাদ্যাভ্যাস এর ওপরেই পুরোপুরি নির্ভর করে। তাই সুরক্ষিত থাকার জন্য এ ধরনের খাবার ত্যাগ করাই ভালো। এই ধরনের খাবার বদ হজম হয়ে জ্বর, বমি ভাব, পেটে ব্যথা ইত্যাদি ঘটাতে পারে যা গর্ভে থাকা শিশুটির পক্ষেও খুবই বেদনাদায়ক। শুধুমাত্র কাঁচা ডিম খাওয়া বন্ধ করলেই সুনিশ্চিত হওয়া যায় না, বরং কাঁচা ডিম ব্যবহার করে যে খাবারগুলো তৈরি হয় যেমন মেয়োনিজ, কেক - এগুলো না খাওয়াই শ্রেয়।
বাঙালি পরিবারে মাছ আমাদের অন্যতম খাদ্য বা খাদ্যাভ্যাস বলা যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাছকে উপকারী হিসাবেই সুনিশ্চিত করা হয়। যদিও এক্ষেত্রে হবু মায়ের যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য সামুদ্রিক মাছকে এড়িয়ে চলাই ভালো। সামুদ্রিক মাছের পারদ জাতীয় পদার্থ থাকার জন্য শিশুর স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং পরবর্তীকালে শিশুটির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
মিষ্টি ও নোনতা দুটোই যদি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ চলে যায় তাহলে আর রইল কি! চিন্তার কোন কারণ নেই, এক্ষেত্রে প্রচুর অন্যান্য উপায় আছে মিষ্টি ও নোনতার স্বাদ পাওয়ার জন্য। খেজুর, ফল, কিসমিস এগুলো খুবই উপকারী বাচ্চা এবং হবু মায়ের ক্ষেত্রে। তাই মিষ্টির বদলে এগুলোই খাদ্য তালিকায় জায়গা করেনিক আর নোনতার বদলে কাজু, পেস্তা, বাদাম এগুলো হয়ে উঠতে পারে উপযোগী। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য আর কাজুর স্বাদ বা স্বাস্থ্যসম্মত গুণ অনস্বীকার্য।
খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাদু খাবার খুবই প্রয়োজনীয় লালা রসের নিঃসরণের জন্য, যা হজমে সাহায্য করে। কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে মশলাদার, মিষ্টি, ভাজাপুজি খাবার লালা নিঃসরণে সাহায্য করলেও সমস্যার কারণ হতে পারে। আবার এ কথাও ঠিক পছন্দের খাবার পুরোপুরি ত্যাগ করা সম্ভব না, আর তা করলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে; যা হবু মা ও সন্তানের ক্ষেত্রে মোটেই কাম্য নয়। সুতরাং এক্ষেত্রে সবথেকে উপযোগী হচ্ছে খাদ্যাভেসে সমতা বজায় রাখা - সব খাবারই খাওয়া, কিন্তু পরিমাণ বুঝে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। অতিরিক্ত খাবার খেলেও তাতে হবু মায়ের ওজন বাড়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা প্রেসার, ডায়াবেটিস ইত্যাদি আরও জটিলতা সৃষ্টি করে। তাই সমতা বজায় রাখা খুবই দরকারি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম তিন চার মাস গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। একদিকে খাবারে অরুচি আরেকদিকে খাদ্যাভ্যাসের বদল এই সমস্যা কে আরো বাড়িয়ে দেয়। আবার এ কথা ঠিক কিছু নিয়ম মানা জরুরী; কারণ এই সময়কালেই সবথেকে বেশি গর্ভপাতের বিপদ থাকে। তাই শুধুমাত্র গর্ভবতী মহিলাদের সচেতন হলেই চলবে না, এক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। হবু মা, প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞতার কারণে ভয় এবং চিন্তার মধ্যে থাকে যা খাদ্যাভ্যাসকে আরো জটিল করে তোলে। তাই হবু মা এবং শিশুটির সুনিশ্চিত, সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সচেতনতা সর্বস্তরে একান্ত কাম্য।
Yes
No
Written by
Atreyee Mukherjee
বাঙালি মাতৃত্ব এবং তার ঋণাত্মক প্রভাব
প্রসবকালীন আচার - প্রারম্ভিক পর্ব
সি-সেকশনের কত সময় পর আপনার যৌন মিলন করা উচিত?
পুত্রের থেকে মা-র সম্মান
পাইলোনাইডাল সিস্ট কী? এর কারণ, চিকিৎসা ও উপসর্গ
গর্ভাবস্থায় কেন আপনার সাবুদানা খাওয়া উচিত?
At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:
Baby Pillow | Baby Toothbrush | Diapers & Wipes - Baby Clothing | Wrappers | Winter Clothing | Socks | Cap, Mittens & Booties | Baby Towel | Laundry Detergent | Diapers & Wipes - Feeding & Lactation | Feeding Bottle | Grooved Nipple | Fruit Feeder | Manual Breast Pump | Baby Sipper | Skin | SHOP BY CONCERN | Dry & Dull Skin | Anti Ageing | Skin brightening | Cloth Diaper | Maternity dresses | Stretch Marks Kit | Stroller |