hamburgerIcon
login

VIEW PRODUCTS

ADDED TO CART SUCCESSFULLY GO TO CART
  • Home arrow
  • প্রসবোত্তর গ্যাস: কারণ ও প্রতিকার arrow

In this Article

    প্রসবোত্তর গ্যাস: কারণ ও প্রতিকার

    প্রসবোত্তর গ্যাস: কারণ ও প্রতিকার

    Updated on 3 November 2023

    শিশু জন্মকালীন সময় মহিলাদের অনেক অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যেতে দেখা যায়। এমনকি, শিশু জন্মাবার পরেও তাঁরা অনেকসময় কষ্ট পেতে থাকেন। যেমন, কিছু মহিলা প্রসবের পরে অত্যধিক পেট ফাঁপা অনুভব করেন। এই অবস্থাটিকে প্রসবোত্তর গ্যাস হিসাবে উল্লেখ করা হয় এবং এটি সাধারণত নিজে থেকেই সেরে যায়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে, সমস্যা চলতেই থাকে এবং তা আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে, যার অবিলম্বে চিকিৎসা করার প্রয়োজন হয়।

    প্রসবোত্তর গ্যাস কি?

    প্রসবোত্তর গ্যাস কি, তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হন কারণ এটি একটি জটিল মেডিকেল পরিভাষার মতো লাগে। সহজভাবে বলতে গেলে, প্রসবোত্তর মানে প্রসবের পরের সময়কাল। একজন মহিলা সন্তান প্রসবের পরে যে পেট ফাঁপা বা পেটে অত্যধিক গ্যাস জমা অনুভব করেন তাকেই প্রসবোত্তর গ্যাস বলে। কখনও কখনও, মহিলারা একই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফাঁপা দুটিই অনুভব করেন। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে প্রসবোত্তর গ্যাসের কারণ প্রায়শই হরমোনের পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত থাকে।

    প্রসবোত্তর গ্যাসের কারণ কি?

    প্রসবোত্তর গ্যাসের কারণ কী তা ভেবে কেউ যদি বিভ্রান্ত হন, তবে তাঁদের ভয় পাবার কিছু নেই কারণ সন্তান প্রসবের পরে মহিলাদের এটি একটি সাধারণ লক্ষণ। প্রসবোত্তর গ্যাসের কিছু সাধারণ কারণ নীচে ব্যাখ্যা করা হলঃ

    1. শ্রোণী তল ক্ষতি

    প্রসবের সময়কালে মহিলাদের শ্রোণী পেশীগুলি বেশি প্রসারিত হয়। এই অত্যধিক প্রসারণের ফলে শ্রোণী পেশীগুলি কখনও কখনও ফেটে যেতে পারে। এই পেশীগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ফলে মহিলারা পেটের বায়ু নির্গমনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন। এটি তাদের মলত্যাগ ক্রিয়াতেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

    2. কোষ্ঠকাঠিন্য

    যেসব মহিলারা গর্ভাবস্থায় অনিয়মিত মলত্যাগের সমস্যায় পড়েন তাঁদের প্রসবের পরে পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। কিছুক্ষেত্রে, মল অত্যধিক শক্ত হয়ে যায় যা ত্যাগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে শেষপর্যন্ত গ্যাস তৈরি হয়।

    3. জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস

    প্রক্রিয়াজাত খাদ্য যেমন গোটা শস্য, দুগ্ধজাত দ্রব্য ও বেশিমাত্রায় শর্করাযুক্ত খাবার খেলে পেট ফাঁপা বা প্রসবোত্তর গ্যাস হতে পারে।

    4. এপিসিওটমি

    কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তারবাবুরা প্রসবকালে এপিসিওটমি নামে একটি অস্ত্রোপচার করেন। প্রসবকালে মলদ্বার এবং যোনিমুখের মধ্যবর্তী অংশটি ছিঁড়ে যাওয়া রোধ করতে এই অংশটি অস্ত্রোপচার করে কেটে দেওয়া হয়।

    এই কাটা অংশ ধীরে ধীরে জুড়ে যায় ঠিকই তবে এতে শ্রোণী তলের পেশীগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রসবোত্তর গ্যাস সহ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

    প্রসবোত্তর গ্যাসের লক্ষণ

    প্রসবোত্তর গ্যাসের কারণ কী তা বোঝার পরে, এর লক্ষণগুলি দেখাও খুবই দরকার। প্রসবোত্তর গ্যাসের কিছু সাধারণ লক্ষণ হল:

    • পেট ফাঁপবার কারণে বায়ু নিঃসরণ
    • পেটে ব্যথা
    • পেটে খিঁচ ধরা
    • অনিচ্ছাকৃত মলত্যাগ হয়ে যাওয়া
    • কোষ্ঠকাঠিন্য
    • ঢেকুর বা উদগার তোলা

    প্রসবোত্তর গ্যাসের চিকিৎসা

    শ্রোণী তল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে যদি কোনও মহিলার প্রসবোত্তর গ্যাসের সমস্যা হয়, ডাক্তারবাবু চিকিৎসার মাধ্যমে ও সংশ্লিষ্ট ব্যায়াম ইত্যাদি করিয়ে তা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন।

    যেসব মহিলারা মলদ্বারের অসংযমজনিত কারণে ভুগছেন তাদের বিশেষ ব্যায়াম করতে বলা হয় যা শ্রোণী তলের পেশীর শক্তি বাড়ায়। এই ব্যায়ামগুলির মধ্যে রয়েছে শ্রোণী পেশীগুলিকে ঘন ঘন শিথিল করা এবং সংকুচিত করার পদ্ধতি| এতে এই পেশীগুলির শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং প্রস্রাব বা গ্যাস নিঃসরণের সময় সেই ব্যক্তির আরও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা এনে দেয়।

    এ সত্ত্বেও ওপরের লক্ষণগুলি চলতে থাকলে, মহিলারা একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন যিনি শ্রোণী পেশীগুলির চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ।

    ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ এবং জোলাপ এর সাময়িক উপশম দিতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনও প্রসবোত্তর গ্যাসের সমস্যা থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে।

    ডাক্তারবাবুরা যথেষ্ট পরিমাণে জল পান করার এবং যোগ ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। যদি কোনো অন্তর্নিহিত শারীরিক সমস্যার কারণে রোগীর এইসব উপসর্গগুলি হতে থাকে, তবে ডাক্তারবাবু সেই নির্দিষ্ট সমস্যাটিকে সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলার উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেন।

    প্রসবোত্তর গ্যাসের সমস্যার জন্য কখন আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত?

    প্রসব পরবর্তীকালে মহিলারা, 'এত গ্যাস কেন হচ্ছে' বা 'প্রসবোত্তর গ্যাস থেকে কি করে মুক্তি পাব', তা ভেবে মানসিকভাবে ক্লান্ত বোধ করলে, তাঁদের অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা উচিত।

    প্রসবোত্তর গ্যাসের সমস্যা কতদিন স্থায়ী হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। কখনও কখনও সম্পূর্ণভাবে সারতে কয়েকমাসও সময় লাগতে পারে। সুতরাং, প্রথম কয়েকমাস পরেও যদি এই লক্ষণগুলি থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মলত্যাগ করার সময় মহিলাদের যদি নিয়ন্ত্রণ না থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং অবিলম্বে চিকিৎসা করানো উচিত।

    মলত্যাগের উপর নিয়ন্ত্রণ হারালে তা, মলদ্বার বা শ্রোণী তলের ক্ষতি নির্দেশ করে। এটি সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলা প্রয়োজন। যে মহিলারা বেশ কিছুদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাদের অবশ্যই ডাক্তারের সাথে দেখা করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।

    পেট ফাঁপার মতো কারণগুলির জন্য ডাক্তারারের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না কারণ এই উপসর্গগুলিকে উপেক্ষা করলে শরীরের ভিতরের অন্য কোনও সমস্যা বেড়ে উঠতে পারে| যে মহিলারা প্রসবের পরে পেট এ আশপাশে খিঁচ ধরা বা ব্যথা অনুভব করেন তাঁদেরও এর কারণ জানবার জন্য একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

    প্রসবোত্তর গ্যাস সম্পর্কিত অজ্ঞতা এবং প্রসবোত্তর গ্যাসের কারণের সঙ্গে যুক্ত বিভ্রান্তি সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করার বদলে, উপযুক্ত চিকিৎসা, সহায়তা এবং পরামর্শ নেওয়াই ভাল।

    Is this helpful?

    thumbs_upYes

    thumb_downNo

    Written by

    Satarupa Dey

    Get baby's diet chart, and growth tips

    Download Mylo today!
    Download Mylo App

    RECENTLY PUBLISHED ARTICLES

    our most recent articles

    Mylo Logo

    Start Exploring

    wavewave
    About Us
    Mylo_logo

    At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:

    • Mylo Care: Effective and science-backed personal care and wellness solutions for a joyful you.
    • Mylo Baby: Science-backed, gentle and effective personal care & hygiene range for your little one.
    • Mylo Community: Trusted and empathetic community of 10mn+ parents and experts.