hamburgerIcon
login

Trying to get pregnant?

Take the Test

ADDED TO CART SUCCESSFULLY GO TO CART

Article continues after adveritsment

Article continues after adveritsment

  • Home arrow
  • চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে ভাল 5টি টিপস্‌ | Top 5 Tips To Control Hair Fall in Bengali arrow

In this Article

    চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে ভাল 5টি টিপস্‌  | Top 5 Tips To Control Hair Fall in Bengali

    Pregnancy

    চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে ভাল 5টি টিপস্‌ | Top 5 Tips To Control Hair Fall in Bengali

    Updated on 3 November 2023

    Article continues after adveritsment

    ঘন চুলে ভরা মাথা অনেকেরই সৌন্দর্য ও আত্মসম্মানকে বাড়িয়ে তোলে। মুকুটের সৌন্দর্য যে-কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ও মহিমার প্রত্যক্ষ অভিব্যক্তি। যদি তা কমতে বা পড়ে যেতে শুরু করে, তাহলে তা বেশ কষ্টকর হতে পারে। চুল পড়া বন্ধ করতে বা চুল বাড়ানোর জন্য আপনি বেশ কিছু জিনিস করতে পারেন।

    চুল পড়ার হার কমানো বা থামানোর জন্য এর মূল কারণ খোঁজা সবচেয়ে প্রয়োজন। সন্তান প্রসব, সার্জারি বা কোনো বড় চাপের জন্য মাঝেমধ্যে সাময়িকভাবে চুল পড়তে পারে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে এর কারণ আরও জটিল। চুলের সাধারণ বৃদ্ধি চক্রে প্রতিদিন প্রায় 100টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি বেশি চুল পড়ে, তাহলে এর মেডিকেল কারণ বোঝার জন্য আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং আপনার বিকল্পগুলি পর্যালোচনা করুন।

    চুল পড়ার কারণ (Causes Of Hair Fall in Bengali)

    বিভিন্ন ব্যক্তির চুল পড়ার সাধারণ কারণ বিভিন্ন হতে পারে। এখানে চুল পড়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হল:

    1. জিনগত কারণ (Hereditary factors)

    আপনার বাবা-মায়ের চুল পড়ার সমস্যা থেকে থাকলে আপনারও সেই সমস্যা থাকার সম্ভাবনা আছে। পুরুষদের মধ্যে এটি বেশি স্পষ্ট হলেও মহিলাদেরও জিনগত টাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    2. হরমোনের পরিবর্তন (Hormonal changes)

    শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে চুলের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়, চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবং এর ফলে চুল পড়ে। মেনোপজ, পিসিওডি, হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারথাইরয়েডিজম, অতিরক্ত টেস্টোস্টেরন ইত্যাদির ফলে চুল পড়তে পারে।

    3. গর্ভাবস্থা (Pregnancy)

    অনেক গর্ভবতী মহিলা ও নতুন মায়েদের মধ্যে নিয়মিত ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি ও হরমোনের অসামঞ্জস্য দেখা যায়। এর ফলে চুলের গোড়ায় সংবেদনশীলতা বেড়ে যায় এবং মাথায় অস্বাভাবিক স্থিতি তৈরি হয়। এই সবকিছুর ফলে সমানে চুল পড়তে পারে।

    4. শারীরিক ও মানসিক চাপ (Physical and mental stress)

    ক্রমাগত অসুস্থতা, অত্যধিক ও ক্ষতিকারকভাবে ওজন কমা এবং অতিরিক্ত শারীরিক শ্রমের ফলে শরীর অসুস্থ ও ক্লান্ত হতে পারে। এর ফলে চুলের গোড়ায় পুষ্টি কম হতে পারে ও দুর্বল হতে পারে এবং দ্রুত চুল পড়তে পারে।

    5. স্কাল্প ইনফেকশন (Scalp infection)

    স্কাল্পে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস ও স্পোরিয়াসিসের মতো ফাংগাল, ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল ইনফেকশন হলে চুলের গোড়া দুর্বল হলে চুলের ক্ষতি হতে পারে এবং এর ফলে চুল পাতলা হয়ে ভেঙে যায় ও চুল পড়ে।

    6. অ্যালোপেশিয়া এরিয়াটা (Alopecia areata)

    এই অটোইমিউন রোগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চুলকে একটি বাহ্যিক সংক্রামণ হিসাবে ভুল করে এবং চুলে আক্রমণ করে, যার ফলে চুল পড়ে। অ্যালোপেশিয়া এরিয়াটার জন্য ডাক্তার বিভিন্ন চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন, যেমন কর্টিকোস্টেরয়েড ইঞ্জেকশন, এন্থ্রেলিং অয়েন্টমেন্ট বা টপিকাল কর্টিকোস্টেরয়েড।

    7. মেডিকেশন ও চিকিৎসা (Medication and treatments)

    কিছু চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে চুল পড়তে পারে। যেমন, কেমোথেরাপি, স্টেরয়েড এবং টাইফয়েড, হৃদরোগ ও ডিপ্রেশনের ওষুধে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে। অ্যান্টিফাংগাল ওষুধের অন্যতম সাধারণ বিরূপ প্রতিক্রিয়া হল টাক পড়া। অন্যান্য যেসব ওষুধে চুল পড়তে পারে, সেগুলি হল ব্রণর ওষুধ, যাতে রয়েছে রেটিনয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক্স, অ্যান্টিফাংগাল ড্রাগস, গর্ভনিরোধক ওষুধ, অ্যান্টি ক্লটিং পিলস, এপিলেপ্সি পিলস, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস, ওজন কমানোর ওষুধ, হরমোন প্রতিস্থাপন চিকিৎসা, পারকিনসন্স ডিজিজের ওষুধ এবং থাইরয়েডের ওষুধ।

    8. টাইরয়েডের সমস্যা (Thyroid disorders)

    থাইরয়েডের সমস্যা ও অ্যান্টি-থাইরয়েড ড্রাগস থেকে প্রায় সবসময়েই চুল পড়ে। এক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং সম্পূর্ণ স্কাল্প থেকে সমানভাবে চুল পড়ে। তবে, সফল চিকিৎসার পরে আবার চুল গজায়।

    9. আইরনের অভাব, রক্তাল্পতা ও রক্তক্ষরণ (Iron deficiency, anemia, and blood loss)

    শরীরে লোহিত রক্তকণিকার অভাব, অপ্রত্যাশিত রক্তক্ষরণ ও শরীরে আয়রনের অপর্যাপ্ত মাত্রার ফলে ক্লান্তি, দুর্বলতা ও মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি চুলও পড়তে পারে।

    10. অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট (Over-supplementation)

    অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই ও সেলেনিয়ামের মতো কিছু পুষ্টিউপাদানের অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট খেলে চুল পড়তে পারে। সাপ্লিমেন্টের আকারে ভিটামিনগুলি না খেলে ফল ও জৈব খাদ্যের মাধ্যমে ভিটামিন গ্রহণ করা ভালো।

    11. স্টাইলিং (Styling)

    হেয়ার প্রোডাক্ট ও হেয়ার অ্যাক্সেসরিজের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে চুল পড়ে। সোডিয়াম লরাইল সালফেট শ্যাম্পু ও হেয়ার স্প্রের মতো কিছু হেয়ার প্রোডাক্টে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যেগুলি আপনার চুল ও স্কাল্পের পক্ষে ক্ষতিকর। ইলাস্টিক ব্যান্ডের মতো হেয়ার অ্যাক্সেসরিজগুলির ফলেও চুল পড়তে পারে কারণ এগুলি চুলে টান দেয়।

    12. পুষ্টির অভাব (Nutritional deficiencies)

    আপনার খাবারে আয়রন, কপার, জিঙ্ক ও প্রোটিনের মতো আবশ্যক পুষ্টিউপাদানের অভাব থাকতে পারে। ভিটামিন ডি-এর অভাবের ফলেও চুল পড়তে পারে। তাই সূর্যের আলোয় বেরোনো প্রয়োজন এবং বাইরে যাওয়া প্রয়োজন।

    13. পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (Polycystic ovarian syndrome)

    যেসকল মহিলাদের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম থাকে, তাদের দেহে হরমোনের অসামঞ্জস্যতা থাকে এবং এর ফলে দেহে স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় অ্যান্ড্রোজেন তৈরি হয়। এর ফলে মুখে ও শরীরে চুল বাড়তে পারে এবং মাথার চুল পাতলা হতে পারে। পিসিওএস-এর ফলে ওভিউলেশনে সমস্যা, ব্রণ ও ওজন বাড়তে পারে।

    চুল পড়া কীভাবে এড়াবেন? (How To Avoid Hair Fall in Bengali)

    1. নিয়মিত ট্রিম করা (Regular trims)

    চুলের ডগা শুষ্ক, ভঙ্গুর ও ফাটা থাকলে চুল ভাঙার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং চুলের ডগা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই চুলতে সুস্থ রাখতে বাড়িতে বা সেলুনে চুল সামান্য কেটে নেওয়া প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্ত চুল খড়ের মতো হয়ে যায় এবং চুলের বৃদ্ধি ভালো করতে ও ফাটা ডগা দূর করতে তা কেটে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া চুল কাটার আগে শ্যাম্পু করুন এবং চুল ধোয়ার সময় কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

    2. চাপ (Stress)

    বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার মূল কারণ, যেমন চুল পড়া। এর ফলে চুলের বৃদ্ধিতেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং কম বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। তবে, ধ্যান ও যোগব্যায়ামের সাহায্যে চাপ কমতে পারে।

    3. স্নান করা এড়িয়ে যান (Avoid taking showers)

    উষ্ণ জলে স্নান করা আরামদায়ক হলেও এর ফলে চুল আর্দ্রতা হারায় এবং স্কাল্প থেকে এর প্রাকৃতিক তেল দূর করে, এর ফলে চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয় এবং চুল ভাঙার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বরং উষ্ণ জল নিন এবং তা একদম ঠাণ্ডা করে চুল ধুয়ে নিন।

    4. ভিজে চুল আঁচড়ানো (Combing wet hair)

    ভিজে অবস্থায় চুল সবচেয়ে বেশি ভঙ্গুর থাকে এবং ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই বড় দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করা প্রয়োজন অথবা যে-কোনো স্টাইলিংয়ের আগে চুল হাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে শুকিয়ে নিন।

    5. শক্ত হেয়ারস্টাইল লাগানো (Wearing tight hairstyles)

    গোড়া থেকে চুল খুব বেশি টেনে বাঁধলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই তা না করা ভালো। এছাড়া ঘুমানোর সময় চুল খুব বেশি শক্ত করে না বাঁধা ভালো।

    চুল পড়া নিয়ন্ত্রণের 5টি সবচেয়ে ভালো টিপস (Top 5 Tips For Controlling Hair Fall in Bengali)

    1.স্কাল্পে হেয়ার অয়েল মালিশ (Hair oil scalp massage)

    নারকেল তেল, আর্গন তেল, পুদিনা তেল ও ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে চুলে মালিশ করলে চুল পড়া করতে পারে এবং চুল বাড়তে পারে। আপনি গরম তেল মালিশের জন্য তেল কিছুটা গরমও করে নিতে পারেন, কারণ এর ফলে তেল স্কাল্পের একদম গভীরে পৌঁছায়, চুলকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে এবং চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে। আরও ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দু’বার কুড়ি মিনিট করে বৃত্তাকারভাবে আপনার স্কাল্পে কোমলভাবে তেল মালিশ করুন।

    2. ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক (Homemade hair masks)

    আপনার চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে, কোমল করতে এবং প্রাণ ফিরিয়ে দিতে ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্কও লাগাতে পারেন। আপনি নিজের সুবিধা মতো সপ্তাহে এক বা দু’বার এটি করতে পারেন। আপনি নিচে উল্লেখ করা হেয়ার মাস্কগুলি নিজে বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন:

    3. গ্রিন টি ও ডিমের হেয়ার মাস্ক (Green tea and egg hair mask)

    গ্রিন টি-তে এপিগ্যালোক্যাটাকিন-3-গ্যালেট (ইজিসিজি) থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমেও চুলের যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে এবং সেগুলি চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, যাতে তা সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে। দুই চা-চামচ টাটকা ফোটানো চায়ের সাথে 1-2টি ডিমের কুসুম মেশান। তারপর মজবুত, সুস্থ ও উজ্জ্বল চুলের জন্য এই মিশ্রণ চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত লাগান।

    4. পিঁয়াজ দিয়ে হেয়ার মাস্ক (Onion hair mask)

    পিঁয়াজে চুল আবার বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীত পুষ্টিউপাদান, যেমন ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি, সি ও ই, ফসফরাস, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যারোটিন থাকে। যাদের মাথার কোনো অংশ থেকে চুল পড়ার সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে পিঁয়াজের রস চুল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। একটি গোটা পিঁয়াজ কুরে তার রস বের করে পিঁয়াজের হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন। স্কাল্পে তুলো দিয়ে পিঁয়াজের রস লাগান। এটি লাগানোর 20-30 মিনিট পরে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

    5. অ্যালোভেরা হেয়ার মাস্ক (Aloe vera hair mask)

    অ্যালোভেরাতে হাইড্রেটিং গুণাগুণ রয়েছে এবং এটি চুলকে নরম করে গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল বেটে তাতে দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল মেশান ও সেটি স্কাল্পে লাগান। এটি লাগানোর 20 মিনিট পরে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

    6. হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন (Use a gentle shampoo)

    চুল ধোয়ার জন্য সবসময় কোনো কোমল ভেষজ শ্যাম্পু বা মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এটি খুসকি ও অতিরিক্ত তেল তৈরির পরিমাণ কমাবে। আঙুল দিয়ে বৃত্তাকারে স্কাল্পে মালিশ করে চুলে শ্যাম্পু লাগান। চুলে শ্যাম্পু ঘষবেন না বা খুব জোরে শ্যাম্পু ঘষে লাগাবেন না। এছাড়া অতিরিক্ত ময়লা বা দূষণ দূর করার জন্য সপ্তাহে দু’বার চুলে শ্যাম্পু করুন।

    7. কন্ডিশনার লাগান (Apply conditioner)

    সবসময় একটি ময়েশ্চারাইজিং ও নারিশিং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি কেবল চুলে লাগান, স্কাল্পে নয়। এটি মাথায় লাগিয়ে 20 মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন এবং প্রতিবার চুল ধোয়ার সময় এটি লাগান। সপ্তাহে একবার আপনি বাড়িতে তৈরি মাস্ক দিয়ে গভীরে কন্ডিশনিংও করতে পারেন। মধু ও দুধ মেশান, চুলে লাগান এবং 20 মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া আপনি চুল পড়া আটকানোর জন্য অনিয়ন হেয়ার ফল কন্ডিশনারও লাগাতে পারেন। অনিয়ন কন্ডিশনারের কয়েকটি উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হল:

    এটি চুলের বৃদ্ধির চক্রকে অপ্টিমাইজ করে। অনিয়ন কন্ডিশনার আপনার স্কাল্পে কিছু উৎসেচককে সক্রিয় করতে পারে, যেগুলি চুলের বৃদ্ধির চক্রের অপ্টিমাইজেশনকে সক্রিয় করে দ্রুত চুল বাড়তে সাহায্য করে।

    অনিয়ন কন্ডিশনার সালফারে সমৃদ্ধ এবং চুল ভাঙা, ডগা ফাটা ও চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে অসাধারণভাবে কাজ করে। এটি হওয়ার কারণ হল সালফার চুল মজবুত করার জন্য আপনার প্রতিটি চুলে প্রয়োজনীয় বাঁধন তৈরি করতে পারে।

    এটি অসময়ে চুল পাকতে দেয় না, কারণ এতে কিছু উৎসেচক রয়েছে, যেগুলি আপনার চুলের ফ্রি র‍্যাডিক্যাল ক্ষতিতে বাধা দেয়।

    এটি আপনার স্কাল্পের পিএইচের মাত্রা বজায় রাখে, যা পুষ্টিযুক্ত ও সুষম স্কাল্পসহ সুস্থ চুলের চাবিকাঠি।

    খুসকি ও চুলকানি থেকে দূরে থাকার জন্য স্কাল্পে নিয়মিত পিঁয়াজের রস লাগালে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ আটকানো যায়।

    নিয়মিত অনিয়ন কন্ডিশনার লাগালে আপনার চুল উজ্জ্বল, কোমল, ময়েশ্চাইজড ও ফ্রিজ ফ্রি হতে পারে।

    শ্যাম্পু যাতে আপনার স্কাল্প থেকে আর্দ্রতা দূর করতে না পারে, সে জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করার আগে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে অনিয়ন অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

    8. খুব বেশি স্টাইলিং এড়িয়ে যান (Avoid too much styling)

    চুলে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াকরণ ও স্টাইলিং এড়িয়ে যান, কারণ বারবার স্টাইলিং করলে এবং স্ট্রেটনিং, পার্ম, কালার ও ব্লিচ করার জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করলে সেগুলি আপনার চুলকে শুষ্ক ও ভঙ্গুর করে দিতে পারে এবং এর ফলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আপনার চুল কার্ল করতে চাইলে হেয়ার রোলার ব্যবহার করুন। এছাড়া পাকা চুল ঢাকার জন্য ভেষজ রং ব্যবহার করতে পারেন। প্রাক্রিতিক উপায়ে চুল রং করার জন্য হেনা ও বিট ব্যবহার করুন।

    চুল পড়া এড়ানোর আরও কয়েকটি টিপস (Some Other Tips To Avoid Hair Fall in Bengali)

    1. স্বাস্থ্যকর খাবার খান (Consume healthy food)

    আপনার চুল পড়া কমানোয় আপনার ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। ওমেগা-3, প্রোটিন ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান ও প্রচুর পরিমাণে সবজি খান। ওমেগা-3 প্রদাহ ও চাপ কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে চুল পড়া কমে। যেহেতু আপনার চুল কেরাটিন নামক একটি প্রোটিন দিয়ে তৈরি, তাই আপনার চুলকে সুরক্ষিত রাখতে ও মজবুত করতে প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েট গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে অতিরিক্ত বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়া কমে, যেগুলির অলে চুল পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন সবজি, যেমন পালং শাক, কাঁচা পেঁপে, লাউ, গাজর, ঢেঁড়স ও কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় ও চুলকে মজবুত করে।

    2. চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে হাইড্রেটেড থাকুন (Stay hydrated to improve hair health)

    পর্যাপ্ত জল না খেলে চুল রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে যেতে পারে, যার ফলে চুল ভাঙা ও চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া জল চুলের গোড়াকে মসৃণ করে এবং চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের সংবহন বাড়ায়। তাই চুল পড়া আটকানোর জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে 2-3 লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন।

    3. মাথায় ঘাম জমতে দেবেন না (Keep your head sweat free)

    আপনি যদি শরীরচর্চা করেন বা খুব বেশি ঘামেন, তাহলে মাথায় ঘাম জমতে না দেওয়ার চেষ্টা করুন। ঘামের ফলে চুলের আর্দ্রতা কমে যায়, যার ফলে ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রমণ, ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হতে পারে, চুলের গোড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং ল্যাক্টিক অ্যাসিড জমতে পারে। তাই, প্রতিবার শরীরচর্চা করার পরে স্নান করা প্রয়োজন ও একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে চুল শুকনো করে মোছা প্রয়োজন। এছাড়া আপনি দ্রুত চুল শোকানোর জন্য কম তাপমাত্রায় ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

    4. ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে যান (Avoid smoking and alcohol)

    সিগারেটে রয়েছে টক্সিনমুক্ত অক্সিজেন র‍্যাডিকল এবং এই টক্সিনগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে এবং এর ফলে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চুল পড়া বাড়তে পারে। অ্যালকোহল বৃদ্ধি ও শক্তির জন্য শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল শোষণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই, অ্যালকোহল পান করা কমান, কারণ এর ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং চুল পড়তে পারে।

    5. যোগব্যায়াম ও নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করুন (Try yoga and breathing exercises)

    যোগব্যায়াম ও মেডিটেশনের মতো অন্যান্য শরীরচর্চা সুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে উপকারী। কিছু যোগব্যায়াম স্ক্যাল্পে রক্ত সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। শরীর থেকে টক্সিন দূর করে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য কিছু নিঃশ্বাসের ব্যায়ামও করতে পারেন।

    6. নিয়মিত চাপমুক্ত হন (De-stress regularly)

    চাপ আপনার স্বাস্থ্য ও চুলের পক্ষে ভালো নয়, কারণ এটি আপনার শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বাড়িয়ে আপনার চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয় এবং এর ফলে চুলে ফাঙ্গাল সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। নিঃশ্বাস ও মেডিটেশনের ব্যায়াম করলে আপনি নিজেকে চাপমুক্ত করতে পারবেন। এছাড়া আপনি নাচ, আঁকা, পড়া, রান্না, ক্কিছু খেলা বা বাগান তৈরির মতো নিজের পছন্দসই কিছু করেও চাপমুক্ত হহতে পারেন।

    7. প্রতি রাতে ভালোভাবে ঘুমান (Sleep well every night)

    ঘুমানোর ফলে আপনার সম্পূর্ণ শরীর নতুনভাবে জাগতে পারে। ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমালে শরীর ডিটক্স হয় এবং আপনার মন ও শরীর সজীব হয়, চাপ কমে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কর্টিসলের মাত্রা বাড়তে পারে এবং তা চুলের গোড়া দুর্বল করে চুল পড়া বাড়াতে পারে। ঘুমাতে সমস্যা হলে হালকা মিউজিক শুনুন। বিছানায় যাওয়ার আগে সব ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও আলো বন্ধ করে দিন।

    চুল পড়ার চিকিৎসা (Hair Fall Treatments in Bengali)

    1. লেজার থেরাপি (Laser therapy)

    চুলের বৃদ্ধির কার্যকর চিকিৎসা হিসাবে কম মাত্রার লেজার থেরাপি ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এটি আপনার স্ক্যাল্পে ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিতে অতিরিক্ত শক্তি দিয়ে চুল পড়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার চিকিৎসা করে স্ক্যাল্পের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনে। এটি চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে ও চুল পড়া কমাতে পারে।

    2. হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (Hair transplantation)

    চুলের অন্যতম থেরাপিউটিক চিকিৎসা হল হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট। এই প্রক্রিয়া দাতার চুল নিয়ে চুল পড়ে যাওয়া অংশে লাগিয়ে করা হয়। প্রাথমিকভাবে আপনার সাময়িক চুল পড়তে পারে, কিন্তু দাতার চুল আগে যেভাবে বাড়ত, সেভাবেই বাড়তে থাকে।

    3. ওষুধ (Medications)

    চুল পড়া কমানোর জন্য আপনি কিছু ওষুধ খেতে পারেন। তবে, নিচে উল্লিখিত যে-কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ:

    মাইনক্সিডিল ও রোগেইন ওভার-দ্য-কাউন্টার মেডিকেটেড শ্যাম্পুর এমন একটি উপাদান, যা চুল পড়া কমাতে ও দ্রুত চুল গজাতে সাহায্য করে। এটি তরল, ফোম ও শ্যাম্পুর আকারে পাওয়া যায়। নতুনভাবে চুল গজাতে বা চুল পড়া থামানোর জন্য এটি ছয় মাস ব্যবহার সময় নেয়। তবে, এটির স্ক্যাল্পে চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার মুখের চারপাশে অতিরক্ত চুল গজাতে পারে।

    ফিনাস্টেরাইড বা প্রোপেসিয়া আরও একটি ওষুধ, যা লাইসেন্সযুক্ত ডাক্তাররা পুরুষদের চুল পড়ার সমস্যার জন্য প্রেসক্রাইব করেন। এটি চুল পড়ার হার কমায় এবং চুল গজাতেও সাহায্য করতে পারে। তবে, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে যৌন সঙ্গমের ইচ্ছা কমে যেতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের এটি অবশ্যই এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

    উপসংহার (Conclusion)

    আপনার ডায়েট ও জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন এনে এবং আপনার স্কাল্প ও চুলের নিয়মিত যত্ন নিয়ে আপনি নিজের চুল মজবুত করে তুলতে পারেন। এর ফলে চুল পড়া কমবে এবং চুল বাড়বে। আরও ভালো ফলাফলের জন্য উপরে উল্লেখ করা পরামর্শগুলি মেনে চলুন। যদি সমস্যা থেকে যায় বা অতিরিক্ত চুল পড়ে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

    Reference

    1. Phillips TG, Slomiany WP, Allison R. (2017). Hair Loss: Common Causes and Treatment. Am Fam Physician.

    2. Almohanna HM, Ahmed AA, Tsatalis JP, Tosti A. (2019). The Role of Vitamins and Minerals in Hair Loss: A Review. Dermatol Ther (Heidelb).

    Tags

    Cause of hair fall in Bengali, How to avoid hair fall in Bengali, Tips to control hair fall in Bengali, Hair fall treatments in Bengali, Top 5 Tips To Control Hair Fall in English, Top 5 Tips To Control Hair Fall in Hindi, Top 5 Tips To Control Hair Fall in Tamil, Top 5 Tips To Control Hair Fall in Telugu

    Is this helpful?

    thumbs_upYes

    thumb_downNo

    Written by

    Nandini Majumdar

    Get baby's diet chart, and growth tips

    Download Mylo today!
    Download Mylo App

    Article continues after adveritsment

    Article continues after adveritsment

    Article continues after adveritsment

    RECENTLY PUBLISHED ARTICLES

    our most recent articles

    Mylo Logo

    Start Exploring

    wavewave
    About Us
    Mylo_logo

    At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:

    • Mylo Care: Effective and science-backed personal care and wellness solutions for a joyful you.
    • Mylo Baby: Science-backed, gentle and effective personal care & hygiene range for your little one.
    • Mylo Community: Trusted and empathetic community of 10mn+ parents and experts.