back search
Browse faster in app
ADDED TO CART SUCCESSFULLY GO TO CART
  • Home arrow
  • সাইলেন্ট রিফ্লাক্স: অর্থ, কারণ, ঝুঁকি এবং চিকিৎসা। arrow

In this Article

    সাইলেন্ট রিফ্লাক্স: অর্থ, কারণ, ঝুঁকি এবং চিকিৎসা।

    Pregnancy

    সাইলেন্ট রিফ্লাক্স: অর্থ, কারণ, ঝুঁকি এবং চিকিৎসা।

    19 May 2023 আপডেট করা হয়েছে

    আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে অনেকেই গলা ব্যথায় ভোগেন, তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও গুরুতর হতে পারে। এঁদের সাইলেন্ট রিফ্লাক্স-এর সমস্যা থাকতে পারে।

    সাইলেন্ট রিফ্লাক্স কি?

    সাইলেন্ট অ্যাসিড রিফ্লাক্স এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে পাকস্থলী থেকে একটি ভালভের মাধ্যমে অ্যাসিড খাদ্যনালীতে উঠে আসে| এতে গলার সংলগ্ন অঞ্চলে প্রচুর জ্বালাভাবের সৃষ্টি হয়, কিন্তু পেটে এই জ্বালা অনুভূত নাও হতে পারে।

    পেটে একটি রক্ষাকারী স্তর আছে কিন্তু খাদ্যনালীতে তা না থাকার ফলে, সেখানে কিছুটা জ্বালাভাব অনুভূত হতে পারে। এই সমস্যা হলে কথা বলতে কষ্ট হয় এবং তারপরে তিনি ঘনঘন গলা ব্যথা, কাশি এবং বুকের হাড়ে অর্থাৎ স্টার্নাম-এ ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন।

    সাইলেন্ট রিফ্লাক্স-এর জন্য বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধান

    ল্যারিঙ্গোলজিস্টদের (কান, নাক, এবং গলার ডাক্তার, যাঁরা স্বরযন্ত্রের সমস্যায় বিশেষজ্ঞ) সাইলেন্ট রিফ্লাক্স এবং খাদ্যনালী, গলা এবং স্বরযন্ত্রের অন্যান্য অসুখ শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা করার প্রচুর অভিজ্ঞতা থাকে। তাঁরা সাধারণত ওষুধ এবং জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের সুপারিশ করে চিকিৎসা শুরু করেন। অস্ত্রোপচার-বিহীন চিকিৎসা ব্যর্থ হলে তাঁরা অত্যাধুনিক মিনিম্যালি ইনভেসিভ পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন।

    সাইলেন্ট রিফ্লাক্সের কারণ

    এমন বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যার থেকে রিফ্লাক্স হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষই বুঝতে পারেন না যে সাইলেন্ট রিফ্লাক্স বা ল্যারিঞ্জিয়াল ফ্যারিঞ্জিয়াল রিফ্লাক্স (এলপিআর) তাঁদের লক্ষণগুলির কারণ। মানুষ যখন খায়, তখন খাবার খাদ্যনালী দিয়ে পাকস্থলীতে নেমে যায়।

    পাকস্থলীর সঙ্গে খাদ্যনালীর সংযোগস্থলে একটি স্ফিঙ্কটার (পেশীর স্থিতিস্থাপক রিং) থাকে যা বন্ধ হয়ে গিয়ে পেটে চলে যাওয়া খাদ্যবস্তুকে খাদ্যনালীতে ফিরে যেতে বাধা দেয়। যদি এই স্ফিঙ্কটারটি সঠিকভাবে বন্ধ না হয়, পাকস্থলীর অ্যাসিডিক উপাদান, খাদ্যনালী, গলা এবং স্বরযন্ত্র পর্যন্ত ফেরৎ চলে যেতে পারে । এর থেকে সাইলেন্ট রিফ্লাক্স হতে পারে।

    সাইলেন্ট রিফ্লাক্স-এর লক্ষণসমূহ

    সাইলেন্ট রিফ্লাক্স- নাম থেকে বোঝা যায় এতে বেশ কিছু উপসর্গ সৃষ্টি হয়। সাইলেন্ট রিফ্লাক্সের তুলনায়, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি) উপসর্গ সৃষ্টি করে। সাইলেন্ট রিফ্লাক্সে আক্রান্ত বেশিরভাগ ব্যক্তির বুকজ্বালা বা বুকে ব্যথা হয় না তবে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি থাকতে পারে।

    1. গলায় একটি পিণ্ড থাকার অনুভূতি
    2. স্বরের কর্কশতা
    3. হাঁপানি
    4. নাকের গভীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জমে থাকা শ্লেষ্মা জমে থাকা
    5. গিলতে অসুবিধা হওয়া
    6. কন্ঠশক্তি হ্রাস পাওয়া
    7. ফ্যাঁসফ্যাঁসে কণ্ঠস্বর
    8. ক্রমাগত কাশি
    9. গান গাওয়ার সময় অস্বস্তি হওয়া

    এই উপসর্গগুলির যে কোনও একটি সাইলেন্ট রিফ্লাক্সের নির্দেশক হতে পারে। যদিও এই লক্ষণগুলি সাধারণ এবং আপাতদৃষ্টিতে গৌণ, তবে এগুলি এমন একটি সমস্যার দিকে নির্দেশ করে যার সমাধান করা প্রয়োজন৷ যদি কারও একটানা এসব লক্ষণগুলি থাকে তবে দ্রুত নির্ণয়ের জন্য একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন

    সাইলেন্ট রিফ্লাক্সের নির্ণয়

    প্রাথমিকভাবে একজন ডাক্তার রোগ নির্ণয় করার জন্য বিশদ পরীক্ষা করে দেখবেন। এর মধ্যে নানান অতীত উপসর্গের ও চিকিৎসার ইতিহাস ও কখন কখন লক্ষণগুলি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, সে সম্পর্কে পাওয়া তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    ডাক্তারবাবু কোনো রোগীকে একজন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টের কাছে পাঠাতে পারেন যদি তিনি ভাবেন যে সেই রোগী দ্বিতীয় চেক-আপ থেকে উপকৃত হবেন। এছাড়া, যদি কারো সাইলেন্ট রিফ্লাক্স থাকে এবং তার জন্য স্ক্যারিং বা ড্যামেজ হয়ে থাকে, তবে ডাক্তারবাবু সেই রোগীকে একজন ওটোলারিঙ্গোলজিস্টের (ইএনটি বিশেষজ্ঞ) কাছে পাঠাতে পারেন।

    এনারা প্রয়োজনবোধে নিম্নোক্ত কিছু বাড়তি পরীক্ষা করতে পারেন, যেমনঃ

    • অ্যাসিড রিফ্লাক্স টেস্ট(Acid reflux test): খাদ্যনালীর ভিতরের তরলে অ্যাসিডের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য একটি পরীক্ষা।
    • এন্ডোস্কোপি(Endoscopy): গলা এবং খাদ্যনালীর ভিতরের অংশ দেখবার একটি পদ্ধতি যাতে একটি দীর্ঘ, সরু টিউবের ডগায় একটি আলোকযুক্ত ক্যামেরা থাকে।
    • সোয়ালোয়িং স্টাডি(Swallowing study): এই পরীক্ষাটি বেরিয়াম নামক একটি নির্দিষ্ট তরল ব্যবহার করে মূল্যায়ন করা হয়, যার থেকে বোঝা যায় যে কীভাবে খাবার মুখ থেকে খাদ্যনালীর মাধ্যমে এগিয়ে যায়। এটি এক্স-রে-এর সাহায্যে দেখা যায়।

    কিভাবে সাইলেন্ট রিফ্লাক্স-এর চিকিৎসা করা হয়

    জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে এবং ওষুধের মাধ্যমে সাইলেন্ট রিফ্লাক্স-এর চিকিৎসা করা যেতে পারে।

    জীবনযাত্রায় এই বদলগুলি রিফ্লাক্সের কারণ দূর করায় সাহায্য করে। জীবনযাত্রার এই পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে:

    1. ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত তিন ঘন্টা আগে খাওয়াদাওয়া সেরে নেওয়া।
    2. ঘুমানোর সময় মাথা শরীরের থেকে ওপরে রাখা।
    3. যেসব খাদ্যে সাইলেন্ট রিফ্লাক্স শুরু হতে পারে তা শনাক্ত করা এবং সেগুলি সীমিতভাবে খাওয়া বা একেবারেই এড়িয়ে চলা। চকোলেট, মশলাদার খাবার, লেবু জাতীয় ফল, ভাজা খাবার এবং টমেটো-যুক্ত খাবারগুলি এগুলির সাধারণ উদাহরণ।
    4. ধূমপান ত্যাগ করা।
    5. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখা।

    উদ্দীপক খাদ্যগুলি বিভিন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন রকমের হতে পারে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে রিফ্লাক্স নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। ব্যবহৃত ওষুধটি সাইলেন্ট রিফ্লাক্স-এ সৃষ্ট কোনও ক্ষতি কমাতেও সাহায্য করবে। কিন্তু যে ক্ষতি হয়ে গেছে, তা আর সারবে না।

    সাইলেন্ট রিফ্লাক্সের চিকিৎসার জন্য নিম্নোক্ত ওষুধগুলি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়:

    • গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড কমাবার জন্য এইচ২ ব্লকারস(H2 blockers), যেমন ট্যাগমেট, পেপসিড, বা নিজাটিডাইন ।
    • গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড কমাবার জন্য প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরস (পিপিআই-গুলি)(Proton pump inhibitors) (PPIs), যার মধ্যে রয়েছে প্রিভাসিড, নেক্সিয়াম এবং প্রোটোনিক্স।
    • অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় করতে অ্যান্টাসিড(Antacids)।
    • ক্ষতিগ্রস্থ মিউকাস মেমব্রেন রক্ষা করতে সাহায্য করার জন্য সুক্রালফেট(Sucralfate)।

    রিফ্লাক্স যখন সত্যিই তীব্র ওঠে, বিশেষ করে খাওয়ার পরে, ডাক্তারবাবু ওভার-দ্য-কাউন্টার অ্যান্টাসিড যেমন মাইলান্টা বা গাভাসকন ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন । অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন খুব কমই হয়।

    ঝুঁকির কারণগুলি

    সাইলেন্ট রিফ্লাক্সের লক্ষণগুলি যে কোনও বয়স বা লিঙ্গের ব্যক্তির মধ্যে দেখা যেতে পারে। ঝুঁকির সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

    1. অতিরিক্ত ওজন
    2. উচ্চতা
    3. গর্ভাবস্থা
    4. মানসিক চাপের ধারাবাহিক মাত্রা
    5. ধূমপান
    6. বিকৃত বা ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যনালীর স্ফিঙ্কটার

    লেবু জাতীয় ফল, টমেটো, চকোলেট এবং মশলাদার খাবারের মতো কিছু খাদ্যও রিফ্লাক্স ঘটায়। কফি, অ্যালকোহল এবং কার্বোনেটযুক্ত পানীয়, সবই এই ঝুঁকি বাড়ায়।

    চিকিৎসা না করে ফেলে রাখলে, রিফ্লাক্স গলার স্বরের উপর মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ, দীর্ঘদিনের পুরোনো রিফ্লাক্স, চিকিৎসা এবং নিয়ন্ত্রণ না করলে, খাদ্যনালীর ক্যান্সার হতে পারে| এতে বেঁচে থাকার হার অত্যন্ত কম।

    যাঁরা সন্দেহ করেন যে তাঁরা সাইলেন্ট রিফ্লাক্স-এর উপসর্গে ভুগছেন, তাঁদের কোনো চিকিত্সকের কাছে যাওয়া উচিত| ডাক্তারবাবুই তাঁদের তত্ত্বাবধানের জন্য সবচেয়ে ভাল পরামর্শ দিতে পারেন।

    Is this helpful?

    thumbs_upYes

    thumb_downNo

    Written by

    satarupadey

    satarupadey

    Read from 5000+ Articles, topics, verified by MYLO.

    Download MyloLogotoday!
    Download Mylo App

    Related Questions

    RECENTLY PUBLISHED ARTICLES

    our most recent articles

    100% Secure Payment Using

    Stay safe | Secure Checkout | Safe delivery

    Have any Queries or Concerns?

    CONTACT US
    +91-8047190745
    shop@mylofamily.com
    certificate

    Made Safe

    certificate

    Cruelty Free

    certificate

    Vegan Certified

    certificate

    Toxic Free

    About Us
    Mylo_logo

    Mylo is a master brand offering solutions through it's subsidiaries - Mylo Care and Mylo Baby.

    Mylo Care offers science backed, expert led solutions across multiple health concerns.

    Mylo Baby is a one stop solution for young parents for all their baby's needs.

    All trademarks are properties of their respective owners.2017-2023©Blupin Technologies Pvt Ltd. All rights reserved.