hamburgerIcon
login
STORE

VIEW PRODUCTS

ADDED TO CART SUCCESSFULLY GO TO CART

Article continues after adveritsment

Article continues after adveritsment

  • Home arrow
  • Home Remedies arrow
  • গর্ভাবস্থায় সর্দি এবং কাশির চিকিত্‍সার জন্য 12টি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার (12 Effective Home Remedies For Treating Cough And Cold During Pregnancy in Bengali) arrow

In this Article

    গর্ভাবস্থায় সর্দি এবং কাশির চিকিত্‍সার জন্য 12টি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার (12 Effective Home Remedies For Treating Cough And Cold During Pregnancy in Bengali)

    Home Remedies

    গর্ভাবস্থায় সর্দি এবং কাশির চিকিত্‍সার জন্য 12টি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার (12 Effective Home Remedies For Treating Cough And Cold During Pregnancy in Bengali)

    3 November 2023 আপডেট করা হয়েছে

    Article continues after adveritsment

    সর্দি এবং কাশি হওয়ার অভিজ্ঞতাটা কখনোই খুব একটা সুখকর হয় না। গর্ভাবস্থায় সর্দি এবং কাশি হলে সেটা একটা সমস্যার বিষয় হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যখন আপনি আপনার অস্বস্তি কমানোর জন্য ওষুধের দোকান থেকে মুখে বলে নিয়ে আসা ওষুধগুলি খেতে পারবেন না। আর এই সময় আপনার কাছে সর্দি-কাশিকে সহ্য করা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ও থাকে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্দির উপসর্গগুলিকে কমানোর জন্য বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করতে হবে।

    সাধারণ সর্দি হলো মূলত এক ধরণের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট শ্বাসনালীর উপরের অংশে হওয়া একটি অসুখ যা আপনার স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। সাধারণ সর্দির ক্ষেত্রে কাশি এবং হাঁচি ছাড়াও আরো অনেক সমস্যা হতে পারে যেমন, নাক বন্ধ হওয়া, নাক থেকে জল পড়া, গলা ব্যথা করা এবং হাঁচি। ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগগুলির চিকিৎসা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে করা যেতে পারে, কিন্তু সাধারণ সর্দির জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো স্বীকৃত প্রতিষেধক (ওষুধ) পাওয়া যায়নি।

    যখন ভ্রূণ এবং ভাইরাস দুটোই একসাথে, একইসময় আমাদের শরীরে উপস্থিত থাকে তখন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউন সিস্টেম) ভ্রূণ এবং ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। এর প্রধান কাজ হলো, শরীরের মধ্যে বাইরের থেকে প্রবেশ করা কোনো বস্তুকে খুঁজে বার করা এবং নির্দিষ্ট অনেক অ্যান্টিবডি দিয়ে সেই বস্তুটাকে আক্রমণ করা। গর্ভাবস্থায়, যে কোনো মহিলার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, আর এর ফলে তাঁর পক্ষে বাড়তে থাকা ভ্রূণকে রক্ষা করা ভীষণ কঠিন হয়ে যায়। আর ঠিক এইভাবেই আপনার সর্দি, কাশি বা সম্ভবত ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যাবে।

    তবে সৌভাগ্যবশত, গর্ভবতী মায়েরা একটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন যে ভাইরাসটি কোনোভাবেই গর্ভাশয়ে প্রবেশ করতে পারবে না এবং প্রসবের সময় তাঁদের শিশুরা ভাইরাসের থেকে হওয়া যে কোনোরকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

    গর্ভাবস্থায় সর্দি এবং কাশির জন্য ঘরোয়া প্রতিকার (Home Remedies For Treating Cough And Cold During Pregnancy in Bengali)

    রসুন (Garlic)

    গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় সর্দি এবং কাশির চিকিৎসার জন্য রসুন ব্যবহার করতে পারেন, কারণ রসুন তাঁদের সর্দি এবং কাশিকে কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণগুলির শক্তিশালী সংমিশ্রণের কারণে, এটি সেই ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া যা সাধারণ সর্দি-কাশি সৃষ্টি করে সেগুলিকে প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে কার্যকরী। কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে, রসুন গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ কমাতে, রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাকে স্থিতিশীল রাখতেও সাহায্য করে। সম্পূর্ণ রসুনের থাকা অ্যালিসিন হবু মায়েদেরকে অনেকরকম সুবিধা প্রদান করে।

    রসুনকে পেষার সময় এবং গরম করার আগে অ্যালিসিন নিঃসৃত হয়। তাই, কাঁচা রসুন খেলে সেটা বুকে জমে থাকা কফ বা সর্দিকে কমাতে সাহায্য করে। এটি খেতে ভালো নাও লাগতে পারে, তবে এটি অবশ্যই আপনার বুকে জমে থাকা কফ বা সর্দিকে কমাতে সাহায্য করবে। কাঁচা রসুনের স্বাদ ভালো না লাগলে, রসুনটাকে কুঁচি করে নিন আর তারপর এতে অল্প মধু মিশিয়ে সেটা খেয়ে নিন। এটিকে দিনে অন্ততঃ দুই থেকে তিনবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

    মধু এবং পাতিলেবু (Lemon and honey)

    মধুর মধ্যে জ্বালা কমানোর গুণ রয়েছে আর তাই আদা বা পাতিলেবুর চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে সেটা গলার অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে। এই প্রতিকারটি ব্যবহার করে কাশি এবং গলা ব্যথা দুটি রোগের থেকেই আরাম পাওয়া যেতে পারে আর এটি সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। এই প্রতিকারটি বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

    মধুর মধ্যে অ্যান্টি-ভাইরাল (ভাইরাস প্রতিরোধ করা) এবং ইমিউন-বুস্টিং (প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো) বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলোই মধুকে গর্ভাবস্থায় কাশির জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ভারতীয় ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি করে তোলে। বিভিন্ন উপায়ে মধু খেলে (যেমন চায়ের সাথে বা হালকা গরম জলের সাথে) সেটা গর্ভবতী মহিলাদেরকে ফ্লুয়ের থেকে বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।

    পাতিলেবু এবং মধু খাওয়ার রেসিপিটি খুব সহজ। গর্ভাবস্থায় খাওয়ার জন্য একটি সঠিক নিরাপদ কফ সিরাপ তৈরি করতে এক গ্লাস উষ্ণ জলে এক চা চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটিকে দিনে তিন থেকে চারবার পান করতে হবে। আপনার যদি ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থাকে তবে আপনি সুস্থ হওয়ার পরেও এটি খেতে পারেন। লেবুর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং মধুর মধ্যে শান্ত করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে আর এই দুটি জিনিসের দ্বারা গলার অস্বস্তি কম হয়।

    পাতিলেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি রয়েছে, আর তাই এটি কিডনিকে শরীরের থেকে বর্জ্য ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে, এবং এইভাবেই সর্দির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    অ্যাপেল সিডার ভিনিগার (ACV)

    গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় সর্দি এবং কাশির জন্য নিরাপদ এবং কার্যকরী থেরাপি হিসেবে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দ্বারা তৈরি হওয়া ক্ষারীয় পরিবেশে ভাইরাসগুলি বেঁচে থাকতে পারে না। ঠান্ডা লাগার প্রথম লক্ষণ দেখা মাত্রই গর্ভবতী মহিলাদের অ্যাপেল সিডার ভিনিগার পান করতে শুরু করা উচিত।

    চা বা জলে দুই চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে সেটিকে দিনে তিনবার পান করতে হবে। এই মিশ্রণটি শরীরের কোনোরকম ক্ষতি করে না। তবে, আপনি যদি অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের থেকে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে চান, তাহলে আপনাকে এটিকে কোনো কিছুর সাথে না মিশিয়ে গার্গল করতে হবে আর তারপরে এতে অল্প উষ্ণ জল মিশিয়ে সম্পূর্ণভাবে গিলে ফেলতে হবে। এটি আপনার জন্য খুব কঠিন কাজ হতে পারে কারণ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেতে তেঁতো হতে পারে বা এর স্বাদটাও অদ্ভুত হতে পারে!

    হলুদ (Turmeric)

    আদার মতোই হলুদও, সর্দি, কাশি এবং নাকের জ্বালা সহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য ভেষজ চিকিৎসা হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামক একটি মূল উপাদান রয়েছে। এটি হলো একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি (জ্বালা কমাতে সাহায্য করে) এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কারকিউমিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বজায় রাখতে এবং সেটিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটাই হলো কারকিউমিনের সবথেকে বড়ো উপকারিতা।

    হলুদ এবং আদার সংমিশ্রণ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে, এবং জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে। বহু লোক যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন তাঁরা এই সংমিশ্রণটি খেয়ে থাকেন।

    স্বাস্থ্যের উপকারিতার জন্য গরম দুধে হলুদ গুঁড়ো এবং গোল মরিচ মেশানো যেতে পারে। যদি আপনি অল্প অসুস্থ বোধ করেন তাহলে এটি দিনে দুবার পান করুন। আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং লবণ মিশিয়ে এক গ্লাস হালকা গরম জলে সেটিকে গুলে নিন। গর্ভাবস্থায় সর্দি এবং কাশির চিকিৎসার জন্য, দিনে দুবার এই মিশ্রণটি দিয়ে গার্গল করুন।

    লবণ মেশানো জল দিয়ে গার্গল করা (Girgle with salt water)

    উষ্ণ গরম জল দিয়ে গার্গল করলে প্রায় 40% শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ কমে যায়। স্যালাইন দ্রবণ গলার থেকে অতিরিক্ত তরল পদার্থকে বের করে এবং ব্যাকটেরিয়া, অ্যালার্জেন ও ছত্রাককে অপসারণ করে। গর্ভাবস্থায় কাশির জন্য লবণ মেশানো জল দিয়ে গার্গল করা হলো অন্যতম সেরা এবং নিরাপদ ঘরোয়া প্রতিকার। আপনাকে এক গ্লাস হালকা গরম জলে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি দিয়ে গার্গল করতে হবে। এটি দিনে দুবার করতে হবে। এমনকি আপনার বন্ধ হয়ে যাওয়া নাকের চিকিৎসার জন্য আপনি এই দ্রবণের কয়েক ফোঁটা নাকের মধ্যে দিতে পারেন।

    জল (Water)

    মনে রাখবেন যে আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি সর্দি-কাশির থেকে মুক্তি পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে সঠিক জলের পরিমাণ বজায় রাখতে হবে এবং আপনার শরীরকে আর্দ্র (হাইড্রেটেড) রাখতে হবে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সর্দি বা কাশি হলে শরীরের জলের পরিমাণ অন্য সময়ের চেয়ে বেশি কমে যায়। শরীরের আর্দ্রতা যাতে না কমে যায় (ডিহাইড্রেশন এড়াতে) এবং শরীরের থেকে কফ বা সর্দিকে বার করার জন্য সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে গরম জল পান করতে বলা হয়। সব্জির বা মাংসের গরম গরম ক্লিয়ার স্যুপ অথবা উষ্ণ পাতিলেবুর জল খাওয়াটাও খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।

    নারকেল তেল (Coconut oil)

    নারকেল তেল ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণকে প্রতিরোধ করার জন্য সুপরিচিত। নারকেল তেলে লরিক অ্যাসিডের ঘনত্বের মাত্রা খুব বেশি থাকে, আর এই কারণে, এই তেলটি ভাইরাসের চারপাশের লিপিড আবরণকে দ্রবীভূত করতে এবং ভাইরাসের আবরণকে ছিন্নভিন্ন করতে, ভাইরাসের পরিপক্কতার হারকে কমাতে এবং ভাইরাল প্রোটিনগুলিকে মূল কোষের ঝিল্লিতে লেগে থাকার ক্ষেত্রে বাধা দিতে অত্যন্ত কার্যকরী।

    গর্ভাবস্থায় নারকেল তেল ব্যবহার করা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, আর এটি ত্বকের উপর সরাসরি লাগানো যেতে পারে এবং এটিকে খাওয়াও যেতে পারে। সর্দির থেকে মুক্তি পেতে গরম পানীয়তে এক চামচ ভোজ্য নারকেল তেল মেশান। নারকেল তেলে থাকা লরিক অ্যাসিড সংক্রমণ ঘটাতে পারে এমন ভাইরাসকে মেরে ফেলে।

    আদা (Ginger)

    আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে শুরু করে আমাদের বড়দের সময় পর্যন্ত বহু শতাব্দী ধরে, আদা সর্বদাই আমাদের রান্নাঘরের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে রয়ে গেছে। আর এর কারণটা খুবই সহজ। আদার মধ্যে কয়েকটি যৌগ রয়েছে, যেমন জিঞ্জেরল এবং স্কুল, যা আদাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট করে তোলে। সৌভাগ্যবশত গর্ভবতী মহিলাদের জন্য, গর্ভাবস্থায় আদা কার্যকরীভাবে সর্দি এবং কাশি নিরাময় করতে পারে। কারণ আদা খাওয়ার ফলে হবু মা বা সন্তানের কোনোরকম ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো প্রমাণ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আপনি যদি নিজের প্রাতঃকালীন অসুস্থতা (মর্নিং সিকনেস) নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তবে আদা আপনার জন্য খুব উপকারী হতে পারে।

    আদা খাওয়ার জন্য, আপনি ফুটন্ত জলে এক টুকরো থেঁতো করা বা গ্রেট করা আদা দিতে পারেন। এতে মধু ও লেবুর রস মেশান এবং এই মিশ্রণটিকে চুমুক দিয়ে পান করুন। এই অসাধারণ মশলাটি রক্ত সঞ্চালনকেও বাড়ায়। আপনি একটি ছোট আদার টুকরোর উপর সামুদ্রিক লবণ (সি সল্ট) ছিটিয়ে দিয়ে সেটিকে কিছুক্ষণ চিবিয়ে খেতে পারেন। আপনি এটি দিনে দুবার অথবা তিনবার খেতে পারেন।

    হিউমিডিফায়ার (Humidifier)

    শরৎ, শীত এবং বসন্তকালে সর্দি-কাশি বেশি হয়ে থাকে, বিশেষ করে যদি আপনি গর্ভবতী হন এবং ওষুধের দোকান থেকে মুখে বলে ওষুধ এনে খেতে না পারেন। যখন বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে, তখন আর্দ্রতার অভাব এবং হিটারের শুকনো তাপের কারণে দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং আপনার বিরক্ত লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে, আপনি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

    হিউমিডিফায়ার বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণকে বাড়িয়ে নাক, গলা এবং ফুসফুসের পথকে আর্দ্র করতে সহায়তা করে। এর ফলে, আরামদায়কভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায় এবং এটি নাক ও অন্যান্য অনুনাসিক পথে কোনোরকম জমাট বাঁধাকে দূর করে। হিউমিডিফায়ার বা গরম জলের পাত্র থেকে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে সরাসরি বাষ্প নিলে সেটি সর্দির কারণে তৈরি হওয়া শ্লেষ্মাকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। আপনার বেডরুমে এবং আপনি যখন অসুস্থ থাকেন তখন আপনি যে ঘরে বেশিরভাগ সময় কাটান সেখানে একটি হিউমিডিফায়ার ইনস্টল করা উচিত। আপনার ত্বকের আর্দ্রতা যাতে বজায় থাকে সে দিকে আপনাকে সবার আগে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    প্রয়োজনীয় তেল বা অ্যাসেনশিয়াল অয়েল, যেমন পিপারমিন্ট, মেন্থল বা চা গাছের তেল (টি ট্রি অয়েল), কিছু হিউমিডিফায়ারে যোগ করা যেতে পারে যেটা হিউমিডিফায়ারের মানুষকে আরাম দেওয়ার সুবিধাগুলিকে উন্নত করতে পারে।

    বুকে মালিশ করা (Message in chest)

    বাজারে উপলব্ধ বুকে মালিশ করার মলম ব্যবহার করে বুকে জমাট বাঁধা কফ বা সর্দিকে কমানো যেতে পারে। অন্যদিকে, গর্ভবতী মহিলাদের এই মলমগুলির তীব্র গন্ধ সহ্য নাও হতে পারে এবং এগুলি বুকে মালিশ করার ফলে যে ঠান্ডা প্রভাব তৈরি হয় সেটা তাঁরা নাও পছন্দ করতে পারেন। যদিও, এটিকে যাতে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায় তার জন্য একটি অন্য একটি পদ্ধতি রয়েছে। রাতে পায়ে মোজা পরে নিন আর তারপরে বুকে মালিশ করার মলমটি পায়ের পাতায় মালিশ করে নিন। এই মলম ব্যবহার করার মাধ্যমে কাশি এবং সর্দির থেকে আরাম পাওয়া যেতে পারে।

    ভিটামিন সি (Vitamin C)

    ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাদ্যগুলিকে খুব বেশি করে খেতে বলা হয় কারণ এগুলি আপনার শরীরকে শক্তিশালী করতে এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত। তাই আপনাকে আপনার খাবারের তালিকার মধ্যে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আপনি টক জাতীয় ফল যেমন কমলালেবু, ট্যানজারিন (ছোট কমলালেবু), কিউই, স্ট্রবেরি এবং আঙ্গুর খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন সব্জি যেমন টমেটো, বেল পেপার, আলু, সবুজ শাক ইত্যাদি খেতে পারেন।

    পেঁয়াজ (Onion)

    গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে কাশি এবং সর্দির থেকে আরাম পেতে পেঁয়াজ খাওয়া খুব উপকারী। এমনকি, সাধারণভাবেও, ঠান্ডা লাগলে পেঁয়াজ খাওয়াটা সত্যিই খুবই কার্যকরী। এটি খাওয়াও খুব সহজ।

    কোয়ারসেটিন এবং সালফিউরিক যৌগ সমৃদ্ধ পেঁয়াজ বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া যেগুলি সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম সেগুলিকে মেরে ফেলে। গর্ভাবস্থায় কাশির জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ভারতীয় ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি হলো কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া। আপনি পেঁয়াজগুলিকে সরাসরি টুকরো টুকরো করে একটি পাত্রে নিয়ে সেগুলিকে খেতে পারেন বা আপনার ঘরে তৈরি টাটকা ভেজিটেবল বার্গার/পিজ্জা/সব্জির উপরে কাঁচা পেঁয়াজের টুকরো ছড়িয়ে দিয়ে খেতে পারেন। আপনি যদি কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ না করেন, তবে একটি পেঁয়াজকে স্লাইস করে কেটে একটি পাত্রে রাখুন এবং তারপর এতে প্রায় 2 কাপ পানীয় জল মেশান। পেঁয়াজের রসের এই মিশ্রণটিকে নিয়মিত তিন থেকে চারবার খেতে হবে। যদি এই টিপস বা পরামর্শগুলি আপনার পক্ষে কার্যকরী না হয়, তাহলে বাতাসকে পরিষ্কার করতে এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে আপনি আপনার ঘুমানোর জায়গার চারপাশে কাটা পেঁয়াজ রাখতে পারেন।

    উপসংহার (Conclusion)

    উপরে যে ঘরোয়া প্রতিকারগুলি দেওয়া হয়েছে সেগুলি গর্ভাবস্থায় সর্দি এবং কাশির চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি বিভিন্ন মহিলাদের উপর আলাদা আলাদা মাত্রায় কার্যকরী হতে পারে, তাই আপনার জন্য কোন প্রতিকারটি সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করবে সেটিকে খুঁজে পেতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন। তবে, যদি এই প্রতিকারগুলি আপনার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী না হয়, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

    Tags:

    Home Remedies For Treating Cough And Cold During Pregnancy in Bengali, Treating Cough And Cold During Pregnancy in Bengali

    Coconut Oil - 200 ml

    Clinically Tested | Boosts Metabolism | Controls Appetite

    ₹ 349

    4.5

    (4416)

    2101 Users bought

    Is this helpful?

    thumbs_upYes

    thumb_downNo

    Written by

    Satarupa Dey

    Get baby's diet chart, and growth tips

    Download Mylo today!
    Download Mylo App

    Article continues after adveritsment

    Article continues after adveritsment

    Article continues after adveritsment

    RECENTLY PUBLISHED ARTICLES

    our most recent articles

    Mylo Logo

    Start Exploring

    wavewave
    About Us
    Mylo_logo

    At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:

    • Mylo Care: Effective and science-backed personal care and wellness solutions for a joyful you.
    • Mylo Baby: Science-backed, gentle and effective personal care & hygiene range for your little one.
    • Mylo Community: Trusted and empathetic community of 10mn+ parents and experts.