hamburgerIcon
login

VIEW PRODUCTS

ADDED TO CART SUCCESSFULLY GO TO CART
  • Home arrow
  • Diabetes during Pregnancy arrow
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাসের লক্ষণ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও জটিলতা (Symptoms, Diagnosis, Treatment, & Complications of Gestational Diabetes Mellitus During Pregnancy in Bengali) arrow

In this Article

    গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাসের লক্ষণ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও জটিলতা (Symptoms, Diagnosis, Treatment, & Complications of Gestational Diabetes Mellitus During Pregnancy in Bengali)

    Diabetes during Pregnancy

    গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাসের লক্ষণ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও জটিলতা (Symptoms, Diagnosis, Treatment, & Complications of Gestational Diabetes Mellitus During Pregnancy in Bengali)

    3 November 2023 আপডেট করা হয়েছে

    দুজনের জন্যই মিষ্টি খাওয়া চলবে না! সব মায়েদেরকে আরো একবার মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে গর্ভাবস্থায় আপনাদের ব্লাড সুগার লেভেল খুব বেশি থাকতে পারে। কিভাবে সেটা জানার জন্য পড়তে থাকুন!

    সংক্ষিপ্ত বিবরণ (Details in Bengali)

    গর্ভকালীন (গর্ভাবস্থায়) ডায়াবেটিস মেলিটাস (রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা) একটি হরমোনজনিত রোগ যা গর্ভাবস্থায় শরীরের মধ্যে ইনসুলিন তৈরি হওয়াকে আটকায় এবং ব্লাড সুগারের লেভেলকে (রক্তে শর্করার মাত্রা) প্রচন্ডভাবে বাড়িয়ে দেয়। এটা বেশিরভাগই নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দেখা যায়:

    • 25 বছরের বেশি বয়সী গর্ভবতী মহিলা
    • আগে >4.5 কেজি বাচ্চার জন্ম দেওয়ার ইতিহাস
    • গর্ভাবস্থার আগে ব্লাড সুগারের মাত্রা যদি বেশি থাকে
    • ব্যায়ামের অভাব
    • অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা
    • পলিসিস্টিক ওভারিয়ান রোগ
    • এশিয়ান এবং আমেরিকান জাতি

    ভ্রূণ গর্ভকালীন (জেস্টেশনাল) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতেও পারে বা নাও হতে পারে, কারণ মায়ের রক্ত থেকে আসা অতিরিক্ত সুগারকে (শর্করা) আটকানোর জন্য ভ্রূণের নিজস্ব ইনসুলিন রয়েছে। প্রসবের সময়, কিছু শিশু অনেকটা বেশি ইনসুলিন তৈরি করতে পারে, তবে কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন পরে সেটা স্বাভাবিক স্তরে ফিরে আসে। যদিও, কিছু কিছু শিশুর ক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গ্লুকোজ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। রক্তে সুগারের লেভেলকে পরিচালনা করার জন্য চিকিৎসা করা হয় এবং প্রসবের পরে 1-2 বছর নিয়মিত সুগার লেভেলকে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

    গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের (জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস) উপসর্গ (Symptoms of Gestation diabetes in Bengali)

    গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে কোনো মূল উপসর্গ দেখা যায় না। যদিও, কারোর নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে তাঁর এই রোগটি হয়েছে বলে অনুমান করা যেতে পারে:

    • বেশি জল তেষ্টা পেতে পারে এবং শরীরে জলের পরিমাণ কমে যেতে পারে (ডিহাইড্রেশন)
    • বার বার প্রস্রাব পেতে পারে, আর এটা বিশেষ করে রাতের দিকে হতে পারে
    • কিছু গর্ভবতী মহিলাদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খিদে পেতে পারে।

    যদি আপনি গর্ভাবস্থায় এই ধরণের কোনো উপসর্গ দেখতে পান, তাহলে অবিলম্বে আপনার গাইনোকোলজিস্টকে (স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ) বা ফিজিশিয়ানকে এই ব্যাপারে জানান।

    গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস) নির্ণয় (Detecting gestational diabetes in Bengali)

    • সমস্ত গর্ভবতী মহিলাদের, বিশেষ করে যাঁদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রাকে (হাই ব্লাড সুগার লেভেল) নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে একটি প্রাথমিক চেক-আপ করাতে হবে। পরবর্তীকালে এটার উপসর্গ দেখা না যাওয়া পর্যন্ত অথবা নিয়মিত গর্ভাবস্থার পরীক্ষা এবং স্ক্যান না করা পর্যন্ত আপনি এটার ব্যাপারে নাও জানতে পারেন।
    • গর্ভবতী মহিলার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাসের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দিলেও রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা (ব্লাড সুগার লেভেল) নির্ধারণের জন্য রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
    • আল্ট্রাসোনোগ্রাফির মাধ্যমে বাচ্চার বৃদ্ধিকে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
    • একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার শরীরে হঠাৎ করে শর্করার (সুগার) মাত্রা বেড়ে গেলে আপনার শরীরের মধ্যে কি ধরণের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সেটা দেখার জন্য একটা গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট বা জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস টেস্ট করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে, আপনাকে গ্লুকোজ-সমৃদ্ধ মিষ্টি পানীয় পান করার জন্য দেওয়া হবে এবং আপনার রক্তে কতটা সুগার অবশিষ্ট থাকছে সেটা নির্ধারণ করার জন্য এক ঘন্টা পরে রক্ত পরীক্ষা করা হবে। এটি আপনার শরীরে সঠিক পরিমাণে ইনসুলিন আছে কিনা তা আপনার ডাক্তারকে জানতে সাহায্য করবে।

    গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সুগার লেভেল চার্ট (Sugar level chart of Gestation diabetes in Bengali)

    ক্রমিক সংখ্যা

    সিনারিও

    মান এমজি/ডিএল-এ রয়েছে

    1.

    খাবার আগে

    95 বা কম

    2.

    খাবার খাওয়ার 1 ঘন্টা পরে

    140 বা কম

    3.

    খাবার খাওয়ার 2 ঘন্টা পরে

    120 বা কম

    গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের (জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস) চিকিৎসা (Treatment of gestational diabetes in Bengali)

    চিকিৎসার লক্ষ্য হলো নিরাপদ ওষুধ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসুলিন শট দিয়ে রক্তচাপের (ব্লাড প্রেসার) সাথে রক্তে শর্করার মাত্রাকে (ব্লাড সুগার লেভেল) নিয়ন্ত্রণ করা। গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরে আপনাকে নিয়মিত চেক আপ করাতে হবে। বাচ্চার জন্মের সময় যদি দেখা যায় যে সে কষ্ট পাচ্ছে তখন তাকে গ্লুকোজ দেওয়া হতে পারে।

    অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেগুলোকে বিবেচনা করে দেখা হয়, সেগুলো হলো:

    • ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতাকে বাড়াতে এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজের কারণে জমা চর্বিকে কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে; এক্ষেত্রে প্রসবের আগের যোগব্যায়াম, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং কমপক্ষে 20-30 মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়।
    • পুষ্টিকর খাবার: একসাথে বেশি করে খাওয়ার ফলে হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে কমাতে অল্প অল্প করে, আরো ঘন ঘন খাবার (দিনে 2-3 বার কিছুক্ষণ পরে পরে স্ন্যাকস খাওয়া সহ) খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

    গর্ভকালীন ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করার জন্য যে খাবারগুলো খাওয়া উচিৎ সেগুলোর তালিকা এখানে দেওয়া হলো:

    • অতিরিক্ত চিনি থাকা বিস্কুট, ক্যান্ডি এবং কেকের চেয়ে প্রাকৃতিক, কম চিনির পরিমাণ আছে যে খাবারে যেমন ফল ও কিসমিস, সেগুলোকে বেশি করে খেতে বলা হয়।
    • আপনাকে অবশ্যই আপনার খাবারের মধ্যে আরো বেশি করে ফাইবার যোগ করতে হবে যা শাকসব্জি এবং গোটা শস্যের মধ্যে বেশি পাওয়া যায়।
    • ভাজা খাবারের মধ্যে যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে সেটাকে এড়িয়ে চলতে হবে।
    • ডিহাইড্রেশন (শরীরে জল কমে যাওয়া) এবং অযথা ক্লান্তিভাবকে দূর করতে শরীরে সঠিক জলের স্তর বজায় রাখতে হবে।

    গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাস প্রতিরোধ করা (Preventing gestational diabetes in Bengali)

    আপনি কয়েকটা সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হওয়াকে রোধ করতে পারেন:

    • আগে থেকেই আপনার গর্ভাবস্থার ব্যাপারে পরিকল্পনা করুন এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।
    • নিয়মিত ব্যায়াম করা যেমন হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা বা আপনার পছন্দের যে কোনো ফিটনেস অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে ব্যায়াম শুরু করুন।
    • পুষ্টিকর খাবার এবং তরল জাতীয় খাবার সহ একটা স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন।
    • শরীরের হোমিওস্ট্যাসিস (শরীরের নিয়মিত কাজ করা) বজায় রাখার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের বিভিন্ন কৌশলের অনুশীলন করুন।

    গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন (জেস্টেশনাল) ডায়াবেটিস মেলিটাসের জটিলতা (Complexities of Gestational diabetes during pregnancy in Bengali)

    • প্রসবের পরে ডায়াবেটিস: প্রসবের পরেও মহিলাদের শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি থাকতে পারে এবং তাঁরা প্রসবের পরে টাইপ 2 ডায়াবেটিস মেলিটাসে ভুগতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু সময়ের জন্য ওষুধ খাওয়া এবং ইনসুলিন নেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।

    • যেসব মহিলাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাস থাকে তাঁদের সন্তানদের পরবর্তী সময়ে আরো উল্লেখযোগ্য লক্ষণ সহ টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

    • গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সাথে আপনার উচ্চ রক্তচাপও থাকতে পারে, যেটা প্রিক্ল্যাম্পসিয়া নামেও পরিচিত। শর্করার উচ্চ মাত্রা (হাই সুগার লেভেল) রক্তের প্রবাহ ও চাপকে বাড়ায়। রক্তচাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই ওষুধ দেওয়া শুরু হবে।

    • গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পরে কোনো মহিলা জন্ডিসে (ত্বক হলুদ বা বিবর্ণ হয়ে যাওয়া) ভুগতে পারেন।
    • মাঝে মধ্যে জন্ম নেওয়ার পরে বাচ্চাকে কিছু দিনের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রেখে শিরায় গ্লুকোজ দেওয়া হতে পারে এবং শিশুটাকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন হতে পারে।
    • শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার কারণে মা ও শিশুদের মোটা হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

    গুরুত্বপূর্ণ বিষয় Important truths)

    গর্ভাবস্থা হলো উপভোগ করার মতো একটি মিষ্টি সময়, কিন্তু গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাস প্রতিরোধ করার জন্য গর্ভাবস্থায় আপনার খাদ্যে চিনির মিষ্টতাকে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। গর্ভাবস্থার হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বারবার তেষ্টা পাওয়া এবং প্রস্রাব পাওয়ার মতো ছোটোখাটো লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে।

    গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে একটা রক্ত ​​পরীক্ষা এবং গ্লুকোজ টলরেন্স টেস্ট করে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাস আছে কিনা তা নিশ্চিত করা যেতে পারে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও ওষুধ প্রসবের সময় এবং প্রসবের পরে ডায়াবেটিসকে কমাতে সাহায্য করতে পারে। অনাগত ভ্রূণ এতে আক্রান্ত হতেও পারে বা নাও হতে পারে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মেলিটাসকে প্রতিরোধ করার জন্য গর্ভাবস্থার পরিকল্পনা করার আগে মহিলাদের ফিটনেস, ডায়েট (সঠিক খাবার) এবং হাইড্রেশন (শরীরে সঠিক জলের মাত্রা) বজায় রাখা উচিত।

    Tags:

    Symptoms, Diagnosis, Treatment, & Complications of Gestational Diabetes Mellitus in Bengali, Symptoms of Gestation diabetes in Bengali, Detecting gestational diabetes in Bengali, Treatment of gestational diabetes in Bengali, Sugar level chart of Gestation diabetes in Bengali, Preventing gestational diabetes in Bengali, Complexities of Gestational diabetes during pregnancy in Bengali,

    Is this helpful?

    thumbs_upYes

    thumb_downNo

    Written by

    Nandini Majumdar

    Get baby's diet chart, and growth tips

    Download Mylo today!
    Download Mylo App

    RECENTLY PUBLISHED ARTICLES

    our most recent articles

    Mylo Logo

    Start Exploring

    wavewave
    About Us
    Mylo_logo

    At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:

    • Mylo Care: Effective and science-backed personal care and wellness solutions for a joyful you.
    • Mylo Baby: Science-backed, gentle and effective personal care & hygiene range for your little one.
    • Mylo Community: Trusted and empathetic community of 10mn+ parents and experts.