শিশুদের জন্য ডাক্তারের দ্বারা সুপারিশ করা সবথেকে প্রচলিত 4টি সাপলিমেন্ট

আপনার শিশুকে কোন ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট দেওয়া উচিত তা নিয়ে যদি আপনি বিভ্রান্ত হন, তবে জানলে অবাক হবেন যে, বেশিরভাগ শিশুই মায়ের দুধ থেকেই ভিটামিন গ্রহণ করে। আপনার শিশু শক্ত খাবার খেতে শুরু করার পর বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শাকসবজি সহ কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে ভুলবেন না।

কিছু শিশুর অতিরিক্ত সাপলিমেন্ট প্রয়োজন হয়, যেমন, প্রি-টার্ম বাচ্চা, যাদের ওজন 1.5 কেজির কম। অতিরিক্ত পুষ্টি আপনার সন্তানকে তাদের শরীরের প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণরূপে পূরণ করতে সাহায্য করবে।

কিছু প্রচলিত সাপলিমেন্ট যা শিশুদের জন্য সুপারিশ করা হয় তার মধ্যে রয়েছেঃ

1.ভিটামিন-কে: জন্মের পরপরই, রক্তক্ষরণজনিত রোগের ঝুঁকি কমাতে সব শিশুকে ভিটামিন কে-এর এককালীন ইনজেকশন দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি, রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এমন কিছু অণু সক্রিয় করতেও আমাদের শরীরেভিটামিন কে প্রয়োজনীয়।

2. ভিটামিন-ডি: এটি শরীরকে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ এবং ধরে রাখতে দেয় যা শক্তিশালী হাড় গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-ডি-এর অভাবে রিকেটস হতে পারে, যা হাড় দুর্বল করে দেয় এবং সাধারণত জীবনের প্রথম দুই বছরেই শিশুদের প্রভাবিত করে। যেহেতু বুকের দুধ পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি প্রদান করে না, তাই সমস্ত বুকের দুধ খাওয়া শিশুদের একটি সাপলিমেন্ট দেওয়া উচিত।

3. ভিটামিন বি 12: ভিটামিন বি 12 শরীরের স্নায়ু এবং রক্তকণিকাকে সুস্থ রাখে এবং সমস্ত কোষের জেনেটিক উপাদান তথা ডিএনএ তৈরি করতে সাহায্য করে। B12 এর ঘাটতি মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া নামক এক ধরণের রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে যা মানুষকে ক্লান্ত এবং দুর্বল করে তোলে। ভিটামিন বি 12 উদ্ভিজ্জ থাকে না, তাই স্তন্যপান করানো মায়েরা যারা কঠোর ভেগান ডায়েট অনুসরণ করেন তাদের নিজেদের এবং তাদের বাচ্চারা উভয়েই পর্যাপ্ত মাত্রায় যাতে ভিটামিন বি 12 পান, তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের খাবারে ভিটামিন বি 12 এর পরিপূরক রাখতে হবে।

4. আয়রন: বুকের দুধে আয়রনের পরিমাণ কম থাকে তবে বেশিরভাগ শিশুই সাধারণত পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন সহই জন্ম নেয়, যাতে অন্তত 4-6 মাস বয়স পর্যন্ত রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে পারে। যদি আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়, বা আপনার সন্তান জন্মের সময় প্রিম্যাচিওর হয়, বা 2.7 কিলোগ্রামের কম ওজনের হয় , তাহলে আপনার শিশু গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত আয়রন নাও পেতে পারে।