hamburgerIcon
login

VIEW PRODUCTS

ADDED TO CART SUCCESSFULLY GO TO CART

Article Continues below advertisement

  • Home arrow
  • Labour & Delivery arrow
  • প্রসবকালীন যন্ত্রণার সময় এনেমা দেওয়া হয় কেন? এটি কি প্রসবকালে সকলকেই দেওয়া হয়, নাকি কিছু বিশেষ মহিলারই প্রয়োজন হয়? arrow

In this Article

    প্রসবকালীন যন্ত্রণার সময় এনেমা দেওয়া হয় কেন? এটি কি প্রসবকালে সকলকেই দেওয়া হয়, নাকি কিছু বিশেষ মহিলারই প্রয়োজন হয়?

    Labour & Delivery

    প্রসবকালীন যন্ত্রণার সময় এনেমা দেওয়া হয় কেন? এটি কি প্রসবকালে সকলকেই দেওয়া হয়, নাকি কিছু বিশেষ মহিলারই প্রয়োজন হয়?

    3 November 2023 আপডেট করা হয়েছে

    Article Continues below advertisement

    কিছু সময় আগে পর্যন্তও হাসপাতালে যতজন ধাত্রী এসেছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এনেমা বা ডুশ ব্যবহার করতেন। বর্তমানে সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ক্লিনজিংয়ের এই প্রক্রিয়া কাজে লাগানো হয় না। এটির প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে বিভিন্ন মতামত আছে। তবে, বেশিরভাগ সন্তানসম্ভবা মা ও ডাক্তাররা আজও মনে করেন যে প্রসব যন্ত্রণার সময় ও প্রসবকালে এনেমা প্রয়োজন। এটি সাধারণত ম্যাটার্নিটি হাসপাতালে ব্যবহার করা হয়। তবে, একজন মহিলা বাড়িতেও নিজেকে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। সন্তানের জন্মের আগে কীভাবে এনেমা তৈরি করতে হয়?

    আপনার এই প্রক্রিয়াটি কেন প্রয়োজন?

    সাধারণভাবে প্রসবের সময় একজন মহিলার অন্ত্র সারাক্ষণ চাপের মধ্যে থাকে। প্রসবের চেষ্টা করার সময় তলপেটের পেশিগুলি টান হয়ে থাকে। শরীর থেকে ভ্রূণ বেরিয়ে আসার সময় অন্ত্র খালি হয়ে যায়। বেশি পরিমাণে মল থাকলে তা ভ্রূণের পেলভিক অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে।

    এছাড়াও অন্ত্র পরিষ্কার করার ফলে সন্তান প্রসবের আগে এনেমা যোনির দৃঢ়তা বাড়ায় এবং জরায়ুর সংকোচন বৃদ্ধি করে। এর ফলে প্রসব প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়।

    এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বিষয় হল এনেমা দেওয়ার পরে একজন মহিলা প্রসবের সময় চিকিৎসাকর্মীদের সামনে ‘লজ্জিত’ হওয়ার ভয় না পেয়ে শান্ত থাকতে পারেন।

    আগে মনে করা হতো যে সদ্যোজাতের শরীর মায়ের মল স্পর্শ করলে তা তার স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। কিন্তু অনেক ডাক্তার লক্ষ্য করেছেন যে প্রসবের চেষ্টা করার সময় মলত্যাগ হয়। সেই কারণে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হলে মল থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখা যাবে।

    Article continues below advertisment

    অনেক মায়ের শরীরে প্রসবের পরে যন্ত্রণাদায়ক সেলাই থাকে। তার ফলে তাঁদের টয়লেটে যেতে সমস্যা হয়। এনেমার পরে মহিলাদের 1-2 দিন মলত্যাগ করার প্রয়োজন নাও হতে পারে। এটি প্রসবের পরে প্রথম কয়েকদিন তাঁদের কিছুটা আরাম দেয়।

    যে-মায়েরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাঁদের প্রসব যন্ত্রণার সময় অবশ্যই এনেমা দিতে হবে। এই ধরনের ক্ষেত্রে মলত্যাগের চেষ্টা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

    সন্তান প্রসবের আগে কখন এনেমা করতে হয়?

    একজন গর্ভবতী মহিলার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে প্রসবের আগে তাঁর এনেমা-র প্রয়োজন আছে কিনা। সন্তানসম্ভবা মা যে-ম্যাটার্নিটি হাসপাতালে প্রসবের জন্য যাচ্ছেন, সেখানে এই প্রক্রিয়াটি হয় কিনা, তা জেনে নিতে হবে।

    আপনি যদি বাড়িতেই এনেমা দিতে চান, তাহলে আপনাকে এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় জেনে নিতে হবে। এটি সংকোচন শুরু হওয়ার সময় বা প্লাগ খোলার ঠিক পরেই করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

    এনেমার জন্য কী প্রয়োজন?

    প্রসব যন্ত্রণার সময় এনেমা প্রক্রিয়ার জন্য আগে থেকে সবকিছু তৈরি রাখুন। একটি এসমার্চের বাটি কিনুন, যেটি একটি রবারের ট্যাঙ্ক এবং যেটির একটি সরু মুখ-সহ 1.5 - 2 লিটার ধারণ ক্ষমতা আছে। এছাড়াও, ভ্যাসলিন বা বেবি ক্রিম নিন। আপনি যদি শুয়ে এনেমা করতে চান, তাহলে একটি আরামদায়ক সমতল খুঁজে নিন এবং অয়েলক্লথ ও কাগজ তৈরি রাখুন।

    Article continues below advertisment

    এনেমার জন্য +35 - 37 °C তাপমাত্রার জল প্রয়োজন। পরিষ্কারের সময় কষ্ট কম করার জন্য জলে 150 থেকে 200 মিলি ক্যামোমাইল যোগ করতে পারেন। এটি তৈরি করার জন্য একটি বড় চামচে গাছের শুকনো ফুল নিন এবং তাতে 200 মিলি ফুটন্ত জল দিয়ে দিন। তারপর 20 মিনিট ভিজিয়ে রেখে জল ছেঁকে নিন।

    প্রসবের আগে এনেমা করার সময় অনেক ক্ষেত্রে জলে সামান্য নুন ভালভাবে গুলে দেওয়া হয়। নুনজল আরও পরিষ্কারভাবে মলত্যাগ সম্পূর্ণ করায়।

    প্রসবের আগে কেন এনেমা করতে হয়?

    প্রথমত, এনেমার জন্য কোনও ক্ষতি হয় না। আপনি আপনার সন্তান বা নিজের, কারোরই কোনও ক্ষতি করবেন না। একমাত্র স্ট্রেনিংয়ের সময় এনেমা ব্যবহার করলে তা প্রসবের সময় ক্ষতিকারক হতে পারে। যদি কোনও কারণে সংকোচনের সময় আপনি অন্ত্র পরিষ্কার করতে না পারেন, তাহলে প্রসবের চেষ্টা করার সময় এনেমা চাওয়া নিরর্থক - তখন কেউ আপনার কথা শুনবেন না, কারণ তখন এটি করা অসম্ভব।

    দ্বিতীয়ত, মহিলাদের স্বর্গীয় সৌন্দর্যের বিষয়টি তর্কাতীত। এই বিষয়ে কোনও দ্বিমতও নেই। সেই কারণে সন্তান প্রসবের সময় সম্ভাব্য বিব্রত পরিস্থিতি আটকানোর জন্য এনেমা করা ভাল। 100% ক্ষেত্রে প্রসবের সময় অনিচ্ছা থাকলেও, অন্ত্র খালি করা হবেই। আপনি কিছুতেই তা আটকাতে পারবেন না। এছাড়া, অনেক মহিলাই তৃতীয় ট্রাইমেস্টার চলাকালীন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে এনেমা আবশ্যক হয়ে যায়। এটি হওয়া স্বাভাবিক এবং ধাত্রীরা প্রায় প্রতিদিনই এই ঘটনা দেখলেও সন্তান প্রসব করার সময় কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটলে তা সবার পক্ষেই ভাল।

    তৃতীয়ত, শারীরবিদ্যার দিক থেকেও এনেমার মাধ্যমে পরিষ্কার করা বিশেষভাবে ভাল। খালি অন্ত্র গর্ভবতী জরায়ুর উপর ওষুধের মতো কাজ করে। এনেমার ঠিক পরে সংকোচন আরও তীব্র হয়ে যায় এবং সন্তানের জন্ম আরও ভালভাবে হয়।

    Article continues below advertisment

    চতুর্থত, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে প্রথম কয়েকদিন টয়লেটে যাওয়ার কথা ভাবাও ভয়ঙ্কর হতে পারে। প্রসবের পরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এপিসিওটমি করা হয় এবং তার পরে পেরিনিয়ামের গর্ত সেলাই করে দেওয়া হয়। সেই কারণে এই সময় অন্ত্র খালি থাকলে তা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুখকর হবে এবং প্রসবের পরে অন্তত কয়েকদিন মলত্যাগের কথা চিন্তা করতে হবে না।

    নিম্নলিখিত ক্রম অনুসারে এনেমা করা হয়:

    • এসমার্চের বাটিটি জল দিয়ে ভরে দিন।
    • সেটির মুখে ভালভাবে বেবি ক্রিম বা ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন।
    • গর্ভবতী মহিলা যে তলে রয়েছেন, সেই তল থেকে 1-1.5 মি উপরে এসমার্চের বাটিটি রাখুন।
    • বায়ু চলাচল রাখার জন্য বাটি থেকে সামান্য জল ফেলে দিন।
    • এসমার্চের বাটির মুখটি সহজেই পায়ুছিদ্রে প্রবেশ করবে। মহিলাটি যদি জলের চলন অনুভব করতে না পারেন, তাহলে আপনাকে মুখটির দিক বদলাতে হবে। প্রক্রিয়াটি করার সময় সন্তানসম্ভবা মাকে যতটা সম্ভব শান্ত ও নিশ্চিন্ত থাকতে হবে।
    • বাটি খালি করার পরে মুখটি সাবধানে সরিয়ে নিন।

    এনেমা শেষ হলেই আপনি টয়লেটে যেতে পারেন। মল-সহ সব জল অন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসবে। এর ফলে আপনি সম্পূর্ণ আরাম অনুভব করবেন।

    এটি কি প্রসবকালে সকলকেই দেওয়া হয়, নাকি কিছু বিশেষ মহিলারই প্রয়োজন হয়?

    নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে এনেমার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

    • প্রসবের আগে যদি মহিলাটি “মলত্যাগের” জন্য টয়লেটে না গিয়ে থাকেন।
    • গর্ভবতী থাকাকালীন বা সম্প্রতি যদি মহিলাটি অত্যন্ত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকেন।
    • প্রসবের ক্রিয়াকলাপ দেখা না গেলে, ডাক্তার বা ধাত্রী তলপেটের পেশিগুলিকে উত্তেজিত করার জন্য ও এভাবে জরায়ুর সংকোচন “শুরু” করানোর চেষ্টার জন্য এনেমা দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
    • আপনার যদি আগে সিজারিয়ান সেকশন হয়ে থাকে।
    • যদি অন্ত্রের দ্বারা বাধার ঝুঁকি থেকে থাকে।

    সন্তানের জন্ম এনেমা ছাড়া করা কি সম্ভব?

    এই প্রক্রিয়ার বিকল্প হিসাবে অনেক সময় মাইক্রো ক্লিস্টার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলি ওষুধ, সাধারণ ওষুধের দোকান থেকেই পাওয়া যায়। এগুলি ছোট-ছোট টিউবে থাকে এবং এগুলি ব্যবহার করাও সহজ। এই টিউবের মধ্যে থাকা উপাদান পায়ুপথের সংস্পর্শে এলেই এর প্রভাব বোঝা যায়।

    Article continues below advertisment

    কিছু গর্ভবতী মহিলা মলদ্বারে জোলাপের সাপোজিটরি ব্যবহার করেন। সেগুলিতে সাধারণত গ্লিসারিন থাকে। পাশ ফিরে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে মলদ্বারে ক্যান্ডেলটি প্রবেশ করানো উচিত। এটি করলে 10-15 মিনিট পরে আপনি টয়লেটে যেতে পারেন।

    ডাক্তারের ওষুধ প্রেসক্রাইব করা উচিত। অনেক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও প্রতিলক্ষণ আছে।

    যেসব মহিলা প্রথমবার মা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁরাই সাধারণত জানতে চান যে প্রসবের আগে এনেমার প্রয়োজন আছে কিনা। যেসব মহিলা আগে মা হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই প্রসবের আগে অন্ত্র পরিষ্কার করে নেন। এর ফলে আপনি যে-কোনও সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন এবং প্রসবের প্রক্রিয়া আরও আরামদায়ক হবে।

    এনেমার পক্ষে বা বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পাঁচটি পরামর্শ

    বেশিরভাগ ম্যাটার্নিটি হাসপাতালে অন্ত্র পরিষ্কার করার প্রচলন থাকলেও আপনি যে-কোনও সময় এই প্রক্রিয়া এড়িয়ে যেতে পারেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিচের বিষয়গুলি চিন্তা করে নিন:

    1. সন্তানকে জন্ম দেওয়ার সময় শান্ত থাকা, মনের জোর বজায় রাখা ও ডাক্তারের কথা শোনা জরুরি। সবকিছু যেভাবেই হোক না কেন, আপনি যদি সারাক্ষণ চিন্তা করতে থাকেন, তাহলে এটিও সমস্যা তৈরি করবে, বিশেষ করে তৃতীয় স্টেজে, যখন আপনি উত্তেজনার বশে ভুলভাবে প্রসব করার জন্য চাপ দেবেন। যদি এতে আপনার সমস্যা থাকে, তাহলে এনেমা নেওয়াই ভালো।
    2. এনেমা করার পরেও প্রসবের চেষ্টা করার সময় অন্ত্রের উপাদানের অবশিষ্ট কিছু অংশ বেরিয়ে আসে। কিন্তু চিন্তা করবেন না, ডাক্তার ও ধাত্রী তখনই সবকিছু মুছে দেবেন ও সব পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। আপনি যদি এনেমা না করে থাকেন, \যা হওয়ার সেটাই হবে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। ডেলিভারি রুমে পরিষ্কার করার জন্য সবকিছু থাকে।
    3. কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, প্রসবের আগে ডাক্তারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া ভালো।
    4. আপনার যদি ইতিমধ্যেই পেশির সংকোচন শুরু হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে কেউ এনেমা দেবে না - তাই একেবারেই ভয় পাবেন না।
    5. আপনি যদি নিশ্চিত থাকেন যে আপনার হাতে এখনও সময় আছে, তাহলে বাড়িতেও এনেমা করা যায়। কিন্তু আপনাকে এই প্রক্রিয়া করার জন্য আগে থেকে তৈরি হতে হবে, যাতে কোনও সমস্যা না হয় এবং চূড়ান্ত মুহূর্তে চিন্তা করতে না হয়।

    সমাপ্তি

    এখন প্রসবের সময় এনেমা কেন দেওয়া হয়, সে-সম্বন্ধে আপনার সাধারণ ধারণা হয়েছে। প্রসবের আগে এনেমা একই সাথে ঐচ্ছিক ও বাঞ্ছনীয় প্রক্রিয়া। বৃহত্তর প্রেক্ষিতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য এটি প্রয়োজন। যাঁরা এনেমা করেন এবং যাঁরা এটি করাতে চান না, দুই পক্ষই সমানভাবে সঠিক, কারণ দু’টি ক্ষেত্রেই কিছু সুবিধা আছে। সুতরাং, প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোন বিকল্পটি তাঁর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য এবং তাঁর জন্য বাঞ্ছনীয়।

    Article continues below advertisment

    Is this helpful?

    thumbs_upYes

    thumb_downNo

    Written by

    Jayashree Roy

    Get baby's diet chart, and growth tips

    Download Mylo today!
    Download Mylo App

    RECENTLY PUBLISHED ARTICLES

    our most recent articles

    Mylo Logo

    Start Exploring

    wavewave
    About Us
    Mylo_logo

    At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:

    • Mylo Care: Effective and science-backed personal care and wellness solutions for a joyful you.
    • Mylo Baby: Science-backed, gentle and effective personal care & hygiene range for your little one.
    • Mylo Community: Trusted and empathetic community of 10mn+ parents and experts.