hamburgerIcon
login
STORE

VIEW PRODUCTS

ADDED TO CART SUCCESSFULLY GO TO CART

Article Continues below advertisement

In this Article

    স্বাদকোরোকের রুচি

    Diet & Nutrition

    স্বাদকোরোকের রুচি

    3 November 2023 আপডেট করা হয়েছে

    Article Continues below advertisement

    গর্ভাবস্থায় অনেক খাবারেই বারণ থাকে, আবার অনেক খাবার খেতে ইচ্ছে করেনা। প্রাচীনকালে লোকাচার অনুযায়ী হোক বা চিকিৎসা শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী হোক গর্ভাবস্থার সময়ে বাইরের খাবার একদমই চলে না। কারণ তেল-ঝাল-মসলাযুক্ত বাইরের খাবার এই সময়ের পক্ষে ভীষণ রকমের ক্ষতিকারক হতে পারে। কিন্তু উল্টো দিকে এই সময়েই সব মেয়েদের বিভিন্ন রকমের স্বাদু জিনিস খাবার ইচ্ছে বড়ই বেড়ে যায়। তাহলে এমন কিছু খাবার জেনে রাখা দরকার, যা স্বাদকরকের রুচিও ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে; আবার শিশুর বা হবু মায়ের স্বাস্থ্যের কোনই ক্ষতি করবে না এমন কিছু খাবার যদি পাওয়া যায় যেখানে পুষ্টিগত গুণমান ভরপুর কিন্তু স্বাদের দিক থেকেও তার রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে, তাহলে গর্ভাবস্থায় সময়টা অতটা কষ্টকর হয় না বিশেষ করে খাদ্য তালিকার দিক দিয়ে।

    গর্ভাবস্থা

    গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক ডাক্তারের মতেই অথবা লোকাচার অনুযায়ীও সবুজ শাকসবজি ভীষণ উপকারী। আবার এমন অনেকেই আছেন বিশেষ করে এখন যারা শাকসবজি শুনে খাবার রুচি হারিয়ে ফেলেন। ভয় পাবেন না সবুজ শাকসবজিকেও এমন ভাবে তৈরি করা যায়, যা শুধুমাত্র যে খাবারের রুচি ফিরিয়ে আনে তাই নয় শিশুর বা মাতৃত্বের পক্ষেও ভীষণ জরুরি হতে পারে এরকম ধরনের খাবারে না তো হবু মা কে কোনরকম ত্যাগ স্বীকার করতে হয় স্বাদের দিক থেকে নাই কোন অনিশ্চিত কারণে ভয় পেতে হয়
    চিকিৎসা বিদ্যা অনুযায়ী ফলিক অ্যাসিড গর্ভাবস্থায় বা গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে উপকারী। তাই সব ডাক্তারই ফলিক এসিডের ওষুধ হবু মা বা মা হতে চান এরম মহিলাদের খেতে বলেন। ফলিক এসিড সাধারণত যেসব খাবারে থাকে, সেসব খাবার যদি খাওয়া যায় তাহলে আলাদা করে ওষুধ খেয়ে এই উপাদানটি শরীরে ঢোকাবার দরকার পড়ে না। ফলিক এসিড সাধারণত থাকে বাতাবি লেবু, কমলালেবু, সিম, মটরশুঁটি ইত্যাদি জিনিসে। এটি প্রধানত শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে যখন শিশুটি গর্ভে থাকে, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে ফলিক এসিডের উপযোগিতা বা প্রয়োজনীয়তা গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ। মা যা খায় তার মাধ্যমে গর্ভে থাকাকালীন শিশুটি পুষ্টি সংগ্রহ করে এবং তার থেকেই তার বিকাশ হয়। তাই একটি শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। এখন যেসব খাবারে ফলিক এসিড দেখা যাচ্ছে আছে, তার মধ্যে বাতাবি লেবু, কমলালেবু, মটরশুটি বেশিরভাগ মানুষই খুব ভালোবেসেই খেয়ে থাকে একমাত্র যে সবজিটি মানুষ তত পছন্দ করে না বা কষাটে স্বাদ বলে এড়িয়ে চলে সেটি হল সিম। এই আলোচনাটি সিমের এমন একটি রন্ধন প্রণালীর কথা জানাবে যা খেলে যে কোন গর্ভবতী মহিলাই খুব সহজেই খাবারটিকে পছন্দ করে ফেলবে এবং সিম খাওয়া তার কাছে প্রয়োজনের থেকে বেশি স্বাদকরকের রুচি ফেরানোর উপাদান হিসেবে পরিগণিত হবে। সব থেকে বড় কথা তরকারিটি অতিরিক্ত স্বাদু হলেও একেবারেই তেল ঝাল মসলাযুক্ত খাবার নয় - যা এই সময়ে খাওয়া যাবে না। তাই এই খাদ্য প্রণালীটি বিশেষ করে সপ্তাহের যে কোনদিনই একজন গর্ভবতী মহিলা খেতে পারেন।

    সিম সর্ষে পোস্ত

    সিম সর্ষে পোস্ত এই প্রণালীটির নাম তাহলে নাম থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে এই প্রণালীটির প্রধান উপকরণ হলো সিম, সরষে, পোস্ত এবং লুকানো উপাদান গুলি হল নুন, চিনি, লঙ্কা, হলুদ। তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রনালিটির উপকরণে এমন কোন উপকরণ নেই যা গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে সমস্যাকর হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, কালো সরষে গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর তাই প্রনালিটি অবশ্যই সাদা সরষে দিয়ে করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে স্বাদের বিন্দুমাত্র তারতম্য হবে না বরং এই প্রণালীটি সাদা সরষে দিয়ে করাটাই ভালো। আবার একথাও ঠিক এই প্রণালীতে সর্ষের পরিমাণ পোস্তর তুলনায় অনেকটাই কম থাকে তাই সর্ষের যেটুকু যা বাজে প্রভাব পড়তে পারে তার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

    প্রণালী

    সিমটা প্রথমে ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। বলে রাখা ভালো, এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি রান্না করাটাও খুব সহজ আর খুব কম সময়ে এটি হয়ে যায়। সিমটা যদি সেদ্ধ করা থাকে, তাহলে রান্নাটা হতে পাঁচ মিনিটও লাগেনা। তাই গর্ভবতী মহিলা এই পদটি খেলে শুধু যে মানসিক তৃপ্তি পাবে স্বাদ বা রুচির মাধ্যমে তাই নয়, শারীরিক আরামও পাবে; কারণ বেশিক্ষণ রান্নার পেছনে সময় নষ্ট করতে বা পরিশ্রম দিতে হবে না। যাইহোক সিমটা ভালো করে সেদ্ধ হয়ে গেলে, অল্প নুন হলুদ মাখিয়ে তেল গরম করে নিয়ে তাতে ছেড়ে দিতে হবে। একটু ভাজা ভাজা হয়ে এলে তার মধ্যে পরিমাণ মতো নুন, মিষ্টি, হলুদ, গুড়ো লঙ্কা এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে, সর্ষে পোস্ত বাটাটা যেখানে পোস্তর পরিমাণ বেশি এবং সর্ষের পরিমাণ কম সেটি দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিয়ে অল্প জল দিয়ে একটুক্ষণ চাপা দিয়ে রাখতে হবে। ৩ মিনিট চাপা দিয়ে রাখলেই যথেষ্ট। তিন মিনিট পর ঢাকা খুলে ততক্ষণ অব্দি নাড়াচাড়া করতে হবে যতক্ষণ না পুরো রান্নাটা একদম শুকনো শুকনো হয়ে যায়। ব্যাস রান্না শেষ। এবার গরম গরম ভাতে শুকনো শুকনো মেখে খেয়ে নিলেই উদরপূর্তি, স্বাদকরকের রুচি এবং সর্বোপরি তৃপ্তি আবশ্যক।

    তাই আজ থেকে মাতৃত্ব শুধুমাত্র ত্যাগের উদাহরণ না হয়ে মায়ের ভালো থাকারও উপায় হয়ে দাঁড়াক। সুস্থ মায়েরা মাতৃত্বকে সব রকম সম্ভাব্য উপায় উপভোগ করুক।

    Is this helpful?

    thumbs_upYes

    thumb_downNo

    Written by

    Atreyee Mukherjee

    Get baby's diet chart, and growth tips

    Download Mylo today!
    Download Mylo App

    RECENTLY PUBLISHED ARTICLES

    our most recent articles

    Mylo Logo

    Start Exploring

    wavewave
    About Us
    Mylo_logo

    At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:

    • Mylo Care: Effective and science-backed personal care and wellness solutions for a joyful you.
    • Mylo Baby: Science-backed, gentle and effective personal care & hygiene range for your little one.
    • Mylo Community: Trusted and empathetic community of 10mn+ parents and experts.