hamburgerIcon

Orders

login

Profile

STORE
SkinHairFertilityBabyDiapersMore
Tackle the chill with hot discounts🔥 Use code: FIRST10Tackle the chill with hot discounts🔥 Use code: FIRST10
ADDED TO CART SUCCESSFULLY GO TO CART
  • Home arrow
  • বাঙালি লোকাচারে সন্তান এবং মাতৃত্ব arrow

In this Article

    বাঙালি লোকাচারে সন্তান এবং মাতৃত্ব

    Preparing For Delivery

    বাঙালি লোকাচারে সন্তান এবং মাতৃত্ব

    4 April 2023 আপডেট করা হয়েছে

    ব্রত

    প্রাচীনকালে চিকিৎসা শাস্ত্রের উন্নতির অভাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রসব জটিল এবং বিপদযুক্ত ছিল। তাই এই বিপদকে কিছুটা লাঘব করতে বা বিপদ থেকে মুক্তি পেতে, বাঙালি লোকাচারে নির্বিঘ্নে প্রসব, গর্ভধারণ, ও তার দীর্ঘায়ুর জন্য বিভিন্ন ব্রতর নির্দেশ দেওয়া আছে। যেমন মহাষষ্ঠী ব্রত, কৃষ্ণাষ্টমী ব্রত সন্তানের সুস্থতার জন্য, কোটিব্রত আট সন্তানের জন্য, এবং জীবিত সন্তানের জন্যে জীবিত পুত্রকষ্টমী ব্রত। এছাড়াও ১২ বছর ধরে পালনের জন্য জ্যেষ্ঠব্রত আছে। এই ব্রতর নিয়ম অনুযায়ী মেয়েরা জ্যেষ্ঠা স্থানে নক্ষত্রের সময়ে, সারা রাত জেগে জেষ্ঠা দেবীর মূর্তি গড়ে পুজো করেন। যে মহিলার সন্তান মারা যায় অথবা যে পুরুষের দরিদ্র ওরসের কারণে একটি মাত্র সন্তান, তার জন্যই এই ব্রত দুর্বাষ্টমী হেমাদ্রি সহায়তা করে; আবার হেমাদ্রি সন্তান লাভের জন্য নাগব্রতও আছে। পিতৃব্রতে পুরস্কার স্বরূপ পুত্রের পিতৃত্ব লাভ হয়। এক্ষেত্রে আরও পরিষ্কার পূত্রিয় পুত্র প্রাপ্তি, পুত্রবধি, পুত্রকান্ত, ইত্যাদি। এছাড়া ছোটখাটো অনুষ্ঠান যেমন সূর্য সূর্যক নক্ষত্র সপ্তমী, ব্রতরাজ তৃতীয়া, দেবকী বিষ্ণুব দাদশী, রুক্মিনাষ্টমী, মঙ্গল গৌরি ইত্যাদিও একই উদ্দেশ্যে করা হয়। একটি সন্তান আছে বা মৃত বৎস দোষ আছে, এরকম নারীর জন্য বিধান আছে। শ্রাবণকৃতিত্ব মৃতবৎসা নারীর জন্য বিশেষ করে সেই সকল নারীর জন্য, যাদের সন্তান শৈশবে মারা যায়; সংঘাতক ব্রত পুত্র ও স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ রোধ করে। এছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলিক বৈচিত্রে ষষ্ঠী পূজার জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়।

    বন্ধ্যাত্ব ও সমাজ

    বেশিরভাগ নারীর মধ্যেই বন্ধ্যাত্বের অপবাদ এড়াবার একটি তীব্র বাসনা দেখা যায়। এটি আগেকার দিনে আরও বেশি রকমের দেখা যেত। সেই সময় বাঙালিরা সর্ব মন প্রাণে পুত্র কামনা করতেন এবং বন্ধ্যাত্ব ঘোচাবার জন্য তপস্যা, ব্রত, প্রার্থনা, পুজো কোন কিছুই বাদ দিতেন না। পুত্র সন্তানের জন্য সহস্র রকমের বিধান আছে।

    ভূত - প্রেত

    বাঙালিরা বিশেষভাবে মনে করতেন যে, পৃথিবীটা বিশেষ করে পাতাল ও অন্তরীক্ষ ভূত-প্রেতাত ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ আর তাদের একমাত্র কাজ জীবিত প্রাণীদের ক্ষতি করা। তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ লক্ষ্য হলো নবজাতক শিশু। এই প্রেতগুলি অনেকেই এদের খেয়ে পুষ্ট হয়। তাই ভ্রুণ বা নবজাতকের ক্ষতি যাতে কোনভাবেই না হয়, তাই সহস্র রকম বিচিত্র ব্রত আবিষ্কার হয়েছিল। বিভিন্ন কার্যকর পদার্থ যেমন ধাতু ইত্যাদি এইসব ব্রতের প্রধান উপকরণ। এই সময়ে গোপন মন্ত্র আওড়াতেন শামান।

    গর্ভধারণের গুরুত্ব

    এতকিছুর পরেও যদি মৃত সন্তান মা প্রসব করতেন বা গর্ভধারণে অসমর্থ হতেন, তাহলে তাকে বন্ধ্যা আখ্যা দিয়ে গর্ভধারণের পক্ষে অশুচি বলে চিহ্নিত করে অপরাধী করা হতো। তাহলে বোঝাই যায় বাঙালি সমাজে গর্ভধারণের গুরুত্ব একজন নারীর পক্ষে ঠিক কতটা। নির্বিঘ্নে প্রসবের পর কবজ ইত্যাদি ধারণ করানো হতো সদ্যজাতের মাকে এবং ব্রতগুলো এই কারণে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছিল। এসবের পরে যেসব সন্তানরা দীর্ঘায়ু হতেন তাদের মাদের এক অন্য সম্মান প্রদান করা হতো।

    বন্ধ্যাত্ব নিয়ে কোনরকম প্রশ্ন বা যুক্তিযুক্ত আলোচনা-পর্যালোচনা কিছুই করা যেত না। যার ফলে বন্ধ্যাত্ব থেকে দোষমুক্ত হওয়ার কোনরকম সুযোগই তারা পেতেন না। সব থেকে বড় কথা মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব যত সহজে মেনে বা মানিয়ে নিতে বাধ্য করা হতো, পুরুষের বন্ধ্যাত্ম্য বিষয়ে খুব অল্পই জানা ছিল এবং জানা থাকলেও তা সর্বতকরণে অবহেলা করা হতো

    নিয়োগ প্রথা

    পুরুষের বন্ধ্যাত্বের স্বীকৃতি নিয়োগ প্রথা থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু সমাজ কখনোই বন্ধ্যা পুরুষকে কোনরকম দোষের ভাগী করত না। বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মন্য সাহিত্যে নিঃসন্তান রাজাদের কথা খুবই প্রচলিত; কিন্তু সেখানে কোনরকম স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় না। বাঙালিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেশকে দেশমাতৃকা হিসেবে জানতো। তাই তারা কৃষিকেই সব রকম ভাবে জীবনে বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যবহার করত। তাই তারা বিশ্বাস করত যে উর্বর খেতে মরা বীজ ফলবে না; কিন্তু সন্তানহীনতার এই সুস্পষ্ট দিকটা তারা এক রহস্যময় আবরণে সবসময়ই ঢেকে রেখেছিল। তাই সবসময়ই প্রসবের সব রকম দোষের ক্ষেত্রে নারীকেই ভাগীদার করা হতো। যদিও প্রেত - পিশাচ ইত্যাদি অতিপ্রাকৃত শক্তির অস্তিত্ব স্বীকার করার ফলে কিছুটা দোষ খলন করার সুযোগ নারীদের কাছে এসেছিল এবং সেই সূত্রে বিভিন্ন ব্রতের অবতারণা।

    মায়ের গুরুত্ব

    পুত্র বা কন্যা যে সন্তানই হোক না কেন, মাতৃত্বের পরে মায়ের কোন গুরুত্বই সেই সন্তানের ক্ষেত্রে থাকতো না অন্ততপক্ষে পরের প্রসব পর্যন্ত। তার মূল কর্তব্য ছিল সন্তানের স্বাস্থ্য, মঙ্গল, এবং দীর্ঘায়ুর জন্য বিভিন্ন ব্রত পালন করা এবং পূজা করা; আর সুস্বাদু খাদ্য পানীয় ইত্যাদি সন্তানের উদ্দেশ্যে দেওয়া এবং নিজে তা পরিত্যাগ করা। বাঙালি লোকাচারের এ এক বড়ই নেতিবাচক দিক; যেখানে আপাতনিষ্ক্রিয় আচরণ ছাড়া মায়ের কোন ভূমিকাই খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। বাড়ির গৃহিনী হিসেবে আহারের তদারকি করা এবং স্বামীসহ শ্বশুরকূল, আত্মীয় ও সন্তানদের পরিবেশন করাই তার কর্তব্য বা কর্ম বলে মনে করা হতো। মা যেহেতু পরিবারের জন্য রান্না করত তাই সন্তানদের পুষ্টির ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অপরিহার্য। কিন্তু সম্পত্তি, গহনা, পোশাক-আশাক ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার কোন ভূমিকা ছিল না। রোগের সময় সে সন্তানের সেবা করত; কিন্তু তাদের বিষয় কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন অধিকার তার ছিল না। বেশিরভাগ শাস্ত্রই শুধুমাত্র পুত্রের কথা বলে তাই মায়েদের বিষয়ে বেশি জানাও খুব একটা সম্ভব নয়। যদিও এটুকু পরিষ্কার পুত্রসন্তান কন্যা সন্তান তফাৎ যার কাছেই থাকুক না কেনো, মায়ের কাছে তারা সমান হিসেবেই প্রতিপন্ন হতো; কিন্তু এ কথাও তর্ক-সাপেক্ষ।

    বিভেদ

    পুত্র সন্তানেরই পিতার সম্পত্তিতে মালিকানা ছিল এবং পিতাও শুধুমাত্র তার পুত্রকেই ব্যবসা, পেশা, যাবতীয় কাজ, এবং সম্পত্তি দান করে যেতেন। মায়ের বা কন্যা সন্তানের সেই সম্পত্তিতে কোনই মালিকানা থাকত না। মেয়ের ক্ষেত্রে একমাত্র ভবিতব্য ছিল খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া এবং তারপরে তার ভালো মন্দ যা কিছুই হয়ে যাক না কেন সেসব ক্ষেত্রে পিতা সম্পূর্ণভাবে উদাসীন থাকতেন। সমাজের কাছে কন্যা সন্তান অভিশাপ স্বরূপ কারণ কন্যা সন্তান মানেই পিতার ওপরে বোঝা - তার বিবাহের সমস্ত খরচপাতি করা এবং পরিবারে তার কোন আধিপত্য বা বিনিময়ে কিছু দেওয়ার থাকত না তাই শাস্ত্রে বলা হয়েছে 'পত্নী বন্ধু কন্যা দুঃখের আধার পুত্র স্বর্গের আলো' আবার এও বলা হয়েছে 'পুত্র নিজস্ব রূপ পত্নী বন্ধু কন্যা পুরুষের দুঃখ মাত্র'।

    তবে ব্যাতিক্রমই প্রমাণকে সিদ্ধ করে। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোন কোন পিতা বুদ্ধিমতী এবং পন্ডিত কন্যার কামনা করতেন। তাই একটি অনুষ্ঠানের কথা জানা যায়। এখানে বলা হয়েছে যে চায় তার কন্যা পন্ডিত হোক সে তিল দিয়ে ভাত রাধবে এবং দুজনে তা খাবে। পন্ডিতা কথাটির মানে শঙ্করাচার্যের টিকা অনুযায়ী গৃহকর্মের ব্যাপারে নিপুনা। এক্ষেত্রে শাস্ত্র অধ্যয়নের ব্যাপারে কন্যাদের কোন ভূমিকার কথা চিন্তাও করা হয়নি। তাই এই ব্যাখ্যাটি ভ্রান্ত, পক্ষপাতদুষ্ট, এবং মিথ্যা।

    সন্তান ও মা

    সন্তানের সম্বন্ধে মায়ের মনোভাব খুব একটা পরিষ্কার নয় কিন্তু শাস্ত্রমতে সন্তান প্রিয়ের চেয়েও প্রিয়। আবার বৌদ্ধশাস্ত্র অনুযায়ী পুত্র পুরুষের ধন।

    বাঙালি সংস্কারে পিতা-মাতার কাছে সন্তানদের সুখ সব থেকে আগে তাই ভালবাসলেও যদি তারা সন্তানের খাদ্য সংগ্রহে অপারগ হন তাহলে তারা দত্তক দেওয়ার জন্য তাদের সন্তানকে বিলিয়ে দেন। শাস্ত্র অনুযায়ী পিতা মাতা দুজনে একজন এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাই পুত্রের ভাগ্য বিষয়ে নারীর কিছু অধিকার এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যদিও বাস্তব ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত সবসময়ই পিতাই নিয়ে থাকেন।

    Is this helpful?

    thumbs_upYes

    thumb_downNo

    Written by

    Atreyee Mukherjee

    Get baby's diet chart, and growth tips

    Download Mylo today!
    Download Mylo App

    RECENTLY PUBLISHED ARTICLES

    our most recent articles

      foot top wavefoot down wave

      AWARDS AND RECOGNITION

      Awards

      Mylo wins Forbes D2C Disruptor award

      Awards

      Mylo wins The Economic Times Promising Brands 2022

      AS SEEN IN

      Mylo Logo

      Start Exploring

      wavewave
      About Us
      Mylo_logo

      At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:

      • Mylo Care: Effective and science-backed personal care and wellness solutions for a joyful you.
      • Mylo Baby: Science-backed, gentle and effective personal care & hygiene range for your little one.
      • Mylo Community: Trusted and empathetic community of 10mn+ parents and experts.